আগামী ৪ অক্টোবর যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে আজিজুল ওরফে আজিদ ওরফে আজিজ (৫০) এবং মিন্টু ওরফে কালু (৫০) নামে দুই আসামির ফাঁসির রায় কার্যকর হতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার রায় লক্ষ্মণপুর গ্রামের বদর ঘটকের ছেলে আজিজুল। মিন্টু ওরফে কালুর বাবার নাম আলি হিম। ধর্ষণের পরে হত্যার দায়ে আদালত ওই দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানায়, আজিজুল ওরফে আজিদ ওরফে আজিজ এবং মিন্টু ওরফে কালু আলমডাঙ্গার রায় লক্ষ্মীপুর গ্রামের এক নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। এ ঘটনায় ২০০৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মামলা হয়; যার জিআর নম্বর ২৭২/২০০৩ ও না.শি. ৩৯/০৪। দীর্ঘ সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক ২০০৭ সালের ২৬ জুলাই আসামি আজিজুল ও মিন্টু ওরফে কালুকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুইজনকেই দুই লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন।
এরপর আসামিপক্ষ হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১২ সালে ১১ নভেম্বর নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার আদেশ দেন হাইকোর্ট। আসামিপক্ষ মামলাটি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও যান। চলতি বছরের ২৬ জুলাই সেখানেও নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার আদেশ হয়। পরে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া হলেও তা নামঞ্জুর হয়। চলতি মাসের ৬ তারিখে কারা অধিদপ্তরকে চিঠি দেয় সুরক্ষা সেবা বিভাগ। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার ৮ সেপ্টেম্বর সেই চিঠি গ্রহণ করে।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিনকান্তি খান বলেন, আজিজুল ওরফে আজিদ ওরফে আজিজ ও মিন্টু ওরফে কালু ফাঁসির রায় কার্যকরের জন্য আদেশ এসেছে।
ফাঁসির রায় কার্যকর করার সময় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার এবং সিভিল সার্জন অথবা তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে জেলার বলেন, ফাঁসির রায় কার্যকরে তিন জল্লাদ অংশ নেবে। তাদের যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকেই নেওয়া হবে।
দুই আসামির পরিবারের পক্ষ থেকে শেষ দেখা করে গেছেন শতাধিক স্বজন।
ধর্ষণের পরে হত্যার দায়ে দুই আসামির ফাঁসির রায় কার্যকর হতে পারে আগামী ৪ অক্টোবর
যশোর প্রতিনিধি