যশোর প্রতিনিধি: যশোরে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ৯০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একইসাথে মারা গেছেন তিনজন। বর্তমানে হাসপাতালে রোগীর চাপ রয়েছে। এ অবস্থায় লকডাউন চললেও তা মানছে না সাধারণ মানুষ। তবে প্রশাসন বলছে লকডাউন কার্যকর করতে তাদের সকল বিভাগ একযোগে কাজ করছে।
যশোর স্বাস্থ্যবিভাগের তথ্য মতে, এপ্রিল ও মে মাসের তুলনায় চলতি মাসে যশোরে করোনা শনাক্তের হার অনেক বেশি। সেইসাথে মৃত্যুও বেড়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ২৩০জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯০জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৯ শতাংশ। আজ মারা গেছেন তিনজন। এদের মধ্যে দুইজন করোনা রোগী এবং অপরজন করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আজকের তিনজনসহ গত এক সপ্তাহে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১২জন।
যশোর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আখতারুজ্জামান জানিয়েছেন, হাসপাতালে করোনা রোগী ও উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর চাপ বেড়েছে। বর্তমানে করোনা ডেডিকেটেড ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৯৯জন রোগী ভর্তি আছে। রোগী বাড়লেও তারা সেবা দিতে সক্ষম।
এদিকে করোনার উর্ধ্বগতির কারণে যশোর পৌরসভা ও নওয়াপাড়া পৌরসভায় লকডাউন চললেও তা মানছে না সাধারণ মানুষ। স্বাভাবিকদিনের মতই শহরের রয়েছে মানুষের চলাচল।
তবে প্রশাসন বলছে লকডাউন কার্যকর করতে তাদের সকল বিভাগ একযোগে কাজ করছে। জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও জনপ্রতিনিধিরা একযোগে কাজ করছেন। যাতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকেও আরো সচেতন হতে হবে এবং প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে হবে। নইলে এ উর্ধ্বগতি রোধ করা কঠিন হয়ে পড়বে