শরীয়তপুরে ট্রলারডুবির ঘটনায় উদ্ধার কাজ শুরু নিখোজ ৪

শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের জাজিরা থেকে জেলে ট্রলারে পদ্মা নদী পার হয়ে শিমুলিয়া ঘাটে যাওয়ার সময় ট্রলারডুবির ঘটনায় উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২৮ মে) সকাল ৮টা থেকে দ্বিতীয় দিনের উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে বলে জানান জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান ভূঈয়া । এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ মে) পদ্মা নদীতে ট্রলারটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় মো. আবদুর রহমান আকন্দ (৭০) নামে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিখোঁজ রয়েছে ওই ট্রলারে থাকা আরও চারজন। রাতে স্রোত ও অন্ধকার নেমে আসায় উদ্ধারকাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৈরী আবহাওয়ার কারণে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বিকেলে পালেরচর ঘাট থেকে ১৮ জন যাত্রী নিয়ে একটি মাছ ধরার ট্রলার শিমুলিয়ার দিকে যাচ্ছিল। পদ্মা নদীর পৌলান মোল্লাকান্দি এলাকায় গেলে ট্রলারটি ডুবে যায়। স্থানীয়রা সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন নৌযান দিয়ে ১২ জনকে উদ্ধার করে। এর মধ্যে ছয়জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আর অন্যদের উদ্ধারের জন্য নৌ পুলিশ অভিযান অব্যাহত রাখে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়া হাসান বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার কিছু আগে পালেরচর থেকে মাছ ধরার ট্রলারে করে শিমুলিয়া ঘাটে যাচ্ছিলাম। আবহাওয়া খারাপ থাকায় লঞ্চ বন্ধ ছিল। ট্রলারটি ছাড়ার কিছুদূর যাওয়ার পর ঢেউ ও স্রোতের কারণে উল্টে যায়। এতে সবাই ডুবে যায়। কেউ কেউ সাঁতরে তীরে আসতে পারে।

নৌ পুলিশ মাঝিরঘাট ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মৃদুল চন্দ্র কাপালিক বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা পর্যন্ত আমরা উদ্ধারকাজ চালিয়েছি। অন্ধকার ও স্রোত থাকার কারণে উদ্ধারকাজ বন্ধ করা হয়। শুক্রবার সকাল থেকে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ঢাকা থেকে ডুবুরি দল আসছে। এলেই তারা নদীতে নেমে যাবে।

জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান ভূঈয়া জানায়, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে, জাজিরা ঘাট থেকে সবধরনের নৌ-যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়ে ছিল। কিছু লোক জাজিরার পূর্ব নাওডোবা জিরো পয়েন্ট থেকে জেলে ট্রলারে করে পদ্মা নদী পার হয়ে মাওয়া শিমুলিয়া ঘাটে যাওয়ার চেষ্টা করে। ট্রলারটি তীর থেকে ছেড়ে নাওডোব ও পালেরচর মাঝামাঝি এলাকায় পদ্মা নদীতে গেলে ঢেউয়ের কবলে পরে ডুবে যায়।

তিনি আরও জানান, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে জাজিরা নৌ-পুলিশ ও ফায়র সার্ভিসের কর্মিরারা এসে ২য় দিনের মতো উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। আব্দুর রহমান আকন্দ নামে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রলারে থাকা আরও ৪ জন নিখোঁজ রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ দাবি করেনি কারো স্বজন হারানো গেছে। নিখোঁজদের কথা লোক মুখে শুনেছি। তাই উদ্ধার কাজ ২য় দিনের শুরু করছি।