পটুয়াখালি প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’র প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গপসাগর। বাতাসের তীব্রতার সাথে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে সমুদ্র ও নদীর পানি। একই সাথে সোমবার বিকাল থেকে হালকা ও মাঝাড়ি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যেই নিরাপদ আশ্রয়ে যাবার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন সাগর পাড়ে বসবাসরত অস্থায়ী বাসিন্দারা। বঙ্গপসাগর’র গভীরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় সমুদ্রতীরবর্তী এ উপজেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৭৬ টি আশ্রয়কেন্দ্র, নবনির্মিত ২টি মুজিব কিল্লা ও ১৫ টি মেডিকেল টিম । এছাড়া কুয়াকাটার অর্ধশত হোটেল মোটেলকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের উদ্দ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। দুর্যোগকালীন সময়ে মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সিপিপি, রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসহ ফায়ার সার্ভিসের কমিউনিটি ভলান্টিয়ার টিমের সদস্যদের সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে ঘূর্নিঝড় মোকাবেলায় সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে সোমবার দুপুরে জরুরি সভা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা ঘূর্নিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জান খান জানান, আবহাওয়া অফিসের তথানুযায়ী সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ঘুর্ণিঝড় ’ইয়াস’ পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৮৫ কি.মি. দক্ষিনে অবস্থান করছে। পায়রা বন্দর সমূহকে দুই নম্বর দুরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুহাসনাত মো. শহীদুল হক জানান, আমাদের সব ধরনের প্রস্ত্রতি রয়েছে। এমনকি ইউপি চেয়ারম্যানদের শুকনা খাবার মজুত রাখতে বলা হয়েছে।