যশোর প্রতিনিধি: উপশহরে এহসানুল হক ওরফে ইমু (৩২) হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যতম আসামী বিপ্লব হোসেন ওরফে বাবুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত মোটর সাইকেল ও বার্মিজ ছুরি উদ্ধার করেছে। বিপ্লব হোসেন ওরফে বাবু যশোর শহরের পুরাতন কসবা বিবি রোড এলাকার ফারুক হোসেন ওরফে শিরুর ছেলে। মামলার তদন্তকারী বনজ কুমার মজুমদার বাবুকে কোতয়ালী থানাধীন পুরাতন কসবা বিবি রোডস্থ শিশু একাডেমির সামনে থেকে গ্রেফতার করে।। এসময় বাবু’র স্বীকারোক্তি মোতাবেক ও তার দেখানো মতে চৌগাছা উপজেলা এলাকা থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত নাম্বার বিহীন এ্যাপাচী ১৫০ সিসি মোটর সাইকেল ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে।
পিবিআই কর্মকর্তা বনজ কুমার মজুমদার জানান,গত বছরের ২১ জুন দিবাগত রাতে এহসানুল হক ওরফে ইমু (৩২) নিউ মার্কেট শিশু হাসপাতালের বিপরীত পাশ রয়েল টি স্টলে চা পান করার অবস্থায় দুস্কৃতিকারীরা অতর্কিত আক্রমন ও ছুরিকাঘাতে ইমু গুরুতর আহত হয়। তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইমু মারা যায়।
এ ঘটনায় ইমুর পিতা উপশহর বি ব্লক বাসা নং ১০৯ এর সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদি হয়ে ২২ জুন কোতয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। মামলা নং ৫৪,তারিখ ২২/০৬/২০ ইং ধারা ৩০২/৩৪ পেনাল কোড। উক্ত মামলাটি পিবিআই তদন্ত শুরু করে। তদন্তকালে পিবিআই কর্মকর্তারা হত্যাকান্ডে জড়িত অভিযুক্ত আল শাহরিয়ার,আসিফ হাসান, শাহিন সরদার নামে তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। তারা আদালতে স্বীকারোক্তি মোতাবেক হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত বিপ্লব হোসেন ওরফে বাবুকে গ্রেফতার করা হয়। বিপ্লব হোসেন বাবু গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশের কাছে স্বীকার করে ঘটনার দিন বিপ্লব পলাতক আসামী দূর্জয় ও সোহাগকে নিয়ে মোটর সাইকেল যোগে ও তার অন্যান্য সহযোগীরা রিক্সাযোগে ঘটনাস্থলে আসে। সেখানে এহসানুল হক ইমুকে চায়ের দোকানে বসা অবস্থায় পেয়ে অভিযুক্ত বিপ্লব হোসেন বাবু তার হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দা ও বার্মিজ ছুরি দিয়ে ইমুকে এলোপাতাড়ী আঘাত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। সোমবার ২৪ মে গ্রেফতারকৃত বিপ্লব হোসেন ওরফে বাবুকে আদালতে সোপর্দ করে।#