মাধঘোপা নিঊজ ডেক্স: উপহার হিসেবে চীন তাদের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকার ছয় লাখ ডোজ আগামী ১৩ জুন বাংলাদেশে পাঠাতে চায়।
শনিবার ঢাকায় নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
হুয়ালং ইয়ান লিখেছেন, ‘আগামী ১৩ জুন বাংলাদেশে ছয় লাখ ডোজ টিকা দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে চীন সরকার।’
গত ২১ মে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে টেলিফোনে জানান, চীন বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে আরও ছয় লাখ ডোজ টিকা দেবে।
১২ মে সিনোফার্মের তৈরি যে পাঁচ লাখ ডোজ টিকা উপহার হিসেবে পাঠায় চীন এর মধ্যে ৩০ হাজার বাংলাদেশে কর্মরত চীনের নাগরিকদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় যে ছয় লাখ টিকা বাংলাদেশকে চীন দিচ্ছে, সেটাও সিনোফার্মের তৈরি।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা টিকা না পেয়ে বাংলাদেশ চীন, রাশিয়া থেকে টিকা কিনতে যোগাযোগ করে। ২৭ মে চীনের কাছ থেকে দেড় কোটি টিকা কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয় ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
এ কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আকতার বলেন, ‘চীন থেকে প্রতি চালানে ৫০ লাখ করে তিন ধাপে দেড় কোটি ডোজ করোনার টিকা কেনার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক ডোজ টিকা ১০ ডলার ধরে হিসাব করলে দেড় কোটি ডোজ আনতে সরকারের খরচ হবে এক হাজার ২৬৭ কোটি টাকা। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এ টিকা কেনা হবে।’
তবে চীনের সঙ্গে ভ্যাকসিন চুক্তির শর্ত ছিল দাম প্রকাশ করা যাবে না৷ তাই অতিরিক্ত সচিব শাহিদা আক্তার দাম প্রকাশ করে দেয়ায় বিপাকে পড়েছে চীন৷ বাংলাদেশের জন্য ধার্য করা দাম নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা৷ কারণ, তারা চীনের কাছ থেকে টিকা পাচ্ছে ১৫ ডলারে৷ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চীন এরই মধ্যে তাদের অস্বস্তির কথা জানিয়েছে৷ ফলে বাংলাদেশকেও শেষ পর্যন্ত ১৫ ডলারেই চীনা টিকা কিনতে হতে পারে৷