যশোর প্রতিনিধি
যশোরের সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তার অব্যাহত অভিযানে যশোর সদরের নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ভেজাল দস্তাসার কারবারীরা ধরাশ্যায়ী। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেনসহ একটি টিম নওয়াপাড়া ইউনিয়নের সাহাপুর আড়পাড়া এলাকায় অভিযান অব্যাহত রেখেছে।তারা আজিজুল ইসলামের ও পিকুলের ভেজাল দস্তা সার উৎপাদন কারখানায় হানা দেয়। পিকুলের ভেজাল দস্তাসার কারখানায় অভিযানে কারখানা থেকে দরজা ও জানালা খুলে নেন। এ সময় কারখানায় থাকা ভেজাল দস্তা তৈরী মালামাল জব্দ করেন। এরপর শাহাপুর আড়পাড়ার জুনায়েদ এর বাগানে অবস্থিত ঘুরুলিয়ার আজিজুল ইসলাম ও তরিকুলের কারখানায় অভিযান চালায়। কারখানাটি বন্ধ থাকলেও কারখানার দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ভেজাল দস্তাসারের কিছু নমুনা দেখতে পান। কারখানায় কেউ না থাকার কারণে কারখানার দরজা খুলে নিয়ে আসেন। এর আগে গত ২৭ আগষ্ট জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের একটি চৌকস টিম সাহাপুর আড়পাড়ায় গত ৪ সেপ্টেম্বর পিকুলের ভেজাল দস্তাসার কারখানায় অভিযান চালিযে ভেজাল দস্তাসার উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত মিক্সার মেশিনসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ তালিকা করে নিয়ে আসেন। এরপরও পিকুল পুনরায় ভেজাল দস্তাসার উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন মেশিন ও যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে ভেজাল দস্তাসার উৎপাদনের ব্যবস্থা গ্রহন করছিল। এর আগে গত মাসের ২৩ আগষ্ট কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেনসহ একটি টিম সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের অন্যতম ভেজাল দস্তাসার উৎপাদনকারী সামিউল ইসলাম ইমনের দস্তাসার কারখানায় অভিযান চালান। সেখানে বিপুল পরিমানের ভেজাল দস্তাসার উৎপাদনের নমুনা সংগ্রহ করেন। ভেজাল দস্তাসার উৎপাদনের জন্য ইমনের পিতাকে হেফাজতে নেন। পরে তাকে ১লাখ টাকা জরিমানা ধার্য্য করে তা আদায় করেন। সূত্রগুলো আরো বলেছেন,সদর উপজেলার ঘুরুলিয়া সাদ্দামের মোড়স্থ সুমি এগ্রো কেমিক্যাল ইন্ড্রাষ্টিজ বর্তমানে সাউদার্ন এগ্রো কেমিক্যালের মালিক আনোয়ার হোসেন লাল্টুর ভেজাল দস্তা সার কারখানায় অভিযান চালিয়ে কৃষি কর্মকর্তা তার ছেলে সিহাবকে আটক করেন। পরে সিহাবকে জেল জরিমানা দেন। ওই সময় লাল্টুর কারখানার মেশিন ও মালামাল কৃষি অফিসারের নেতৃত্বে একটি টিম খুলে সদর উপজেলা পরিষদে রেখে পরবর্তীতে নিলামে তুলেন। এছাড়া, লাল্টুর কারখানায় অভিযান চালানোর পর জুনায়েদ এর বাগানে আজিজুল ইসলামের কারখানায় অভিযান চালিয়ে কারখানা থেকে মেশিন ও মালামাল জব্দ করে নিয়ে যান। নিয়ে যাওয়ার পর আজিজুল ইসলাম পুনরায় মেশিন ও মালামাল ক্রয় করে পুনরায় ভেজাল দস্তাসার উৎপাদন করেন। সূত্রগুলো বলেছেন,আজিজুল ইসলাম অভিযানের খবর আগেবাগেই পেয়ে কারখানা থেকে মেশিন ও মালামাল খুলে তার বাড়ি ও বিভিন্ন স্থানে অতি সাবধানে রেখেছে। যার ফলে রোববার গত ৪ সেপ্টেম্বর কৃষি অফিসার তার কারখানায় অভিযান চালিয়ে দুই মন ভেজাল সার তৈরীর উপকরণ দেখতে পান। এবিষয়ে ও আইনানুগ ব্যবস্হা গ্রহন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।#