প্রেস বিজ্ঞপ্তি জ্বালানি তেলের মূল্য একসঙ্গে রেকর্ড ৫১ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ, অসন্তোষ ও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) নেতৃবৃন্দ। অবিবেচনাপ্রসূত উচ্চহারের এ মূল্য বৃদ্ধি সর্বস্তরের জনসাধারণের মত সাংবাদিক সমাজকেও ভয়াবহ সংকটে ফেলবে বলে উল্লেখ করেন সাংবাদিক নেতারা।
আজ শনিবার (৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ডিইউজে সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহীদুল ইসলাম বলেন, আকাশছোঁয়া দ্রব্যমূল্য, সব ক্ষেত্রে জীবনযাত্রার ব্যয়ে নজিরবিহীন উল্লম্ফন সাধারণ মানুষের মত দেশের সাংবাদিক সমাজও দিশেহারা। গোটা সংবাদমাধ্যম জুড়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরাজমান মন্দা, অস্থিরতা ও এক ধরনের নৈরাজ্য চলছে। সাংবাদিকেরা প্রতিনিয়ত কর্মচ্যুত হচ্ছেন, বেতন ভাতা অনিয়মিত ও কমিয়ে দেওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে। সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোও লাগামহীন ব্যয় বৃদ্ধিতে টিকে থাকার সংগ্রাম করছে।
এমন দুঃসহ পরিস্থিতিতে জ্বালানি তেলের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের বড় ধরনের সংকটে ফেলবে। বিশ্ববাজারে তেলের মূল্য যখন নি¤œমুখী এবং খোদ প্রধানমন্ত্রী পেট্রোল ও অকটেন আমদানি করতে হয় না বলে জানানোর এক সপ্তাহের মধ্যে এমন হঠকারী পদক্ষেপ অগ্রহণযোগ্য।
সাংবাদিক নেতারা বিবৃতিতে আরও বলেন প্রায় ৯৯ শতাংশ সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালনে মোটর সাইকেল বা গণপরিবহন ব্যবহার করেন। এ খাতে ৫০ শতাংশ ব্যয় বৃদ্ধি তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনকে দুরূহ ও ব্যয়বহুল করে তুলবে। এ বাড়তি ব্যয় নির্বাহ করার ক্ষমতা সংবাদকর্মীদের নেই। সংবাদপত্র ও এর কাঁচামাল পরিবহনেও এর প্রভাব অবশ্যম্ভাবী।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির অপরিনামদর্শী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথা ভুক্তভোগী জনসাধারণের সঙ্গে সাংবাদিক সমাজও এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।#