যশোর প্রতিনিধি
সদর উপজেলার চার এলাকায় সহিংসতার ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় আলাদা চারটি মামলা হয়েছে। মামলাগুলিতে ১৫ জন আসামীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সহিংসহার ঘটনায় প্রাথমিক পর্যায় থানা কর্তা মামলা গ্রহন না করায় আদালতের স্মরনাপন্ন হলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের আদেশে কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মামলা হিসেবে বুধবার গভীর নথিভূক্ত করেছেন। মামলায় আসামীরা হচ্ছে, যশোর শহরের শ্রীধর পুকুর রোড নিউ বেজপাড়া রোডের পশ্চিম অংশের হোল্ডিং নং ৩৩৭ বাসার আশরাফ মোল্যার ছেলে সুমন মোল্যা,বেজপাড়া শ্রীধর পুকুর পাড়ের পাশের্^ (ভাড়াটিয়া) অমিত, বেজপাড়া পূজা মন্ডপের পাশে মৃত সাধনের ছেলে লাল্টু,যশোর সদর উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রামের সামছুদ্দিন মোল্যার ছেলে টিটো, পিকুল, মৃত আবদার মোল্যার ছেলে মনিরুল ইসলাম, সালাম মাস্টারের ছেলে আজাদ ও ফসিয়ার মোল্যার ছেলে হারুন,সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মোনতাজের ছেলে রানা , রানার মা নিছারুন বেগম, আফছারের ছেলে রসুল, মৃত পুটির ছেলে মোনতাজ ও মোনতাজের মেয়ে ও ইউসুফের স্ত্রী সুমাইয়া ও সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের আব্দুল পুর গ্রামের মোজাম মোল্যার ছেলে ছরোয়ার মোল্যা ও জাহান মোল্যার ছেলে মোজাম মোল্যা। আসামীদের কেউ কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের কাছে গ্রেফতার হয়নি।
চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের আব্দুল পুর গ্রামের সাহেব আলীর স্ত্রী মোছাঃ নাজমা বেগম বাদি হয়ে মামলায় উল্লেখ করেন, গত ২৪ জুন বিকেল ৩ টায় আব্দুলপুর গ্রামস্থ বাদির বসত বাড়ির উঠানে ছরোয়ার মোল্যা ও মোজাম মোল্যা পূর্ব শত্রুতার কারনে কোদাল ও সাবল নিয়ে বাদির মাতা মোছাঃ সাবুল্ল্যা খাতুনকে চুলের মুট ধরে টানতে টানতে উঠানে এনে কোমরে লাথি মেরে। বাদি ঠেকাতে এলে তাকে মারপিট করে গলায় থাকা স্বর্ণের ১ভরি চেইন ছিনিয়ে নেয় ও শ্লীলতাহানী ঘটনায়। গুরুতর অবস্থায় বিকেলে বাদির মাতাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতি ঘটনায় চিকিৎসকগন খুলনায় রের্ফাড করেন। অপরদিকে সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের আক্তারুজ্জামানের ছেলে ইউসুফ বাদি হয়ে বুধবার রাতে মামলায় উল্লেখ করেন,গত ২৬ জুন সকাল ১০ টায় বাদির বাড়িতে আসামী বাদির স্ত্রী সুমাইয়া সহ তার সহযোগীরা প্রবেশ করে বাদিকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে জখম করে। বিয়ের পর থেকে সুমাইয়া তার স্বামী বাদি ইউসুফের সাথে শত্রুতা মূলক আচারন করে আসছিল। তারই জের ধরে এই ঘটনা ঘটায়। সদর উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রামের মৃত রহমত মোল্যার ছেলে আব্দুল আজিজ বাদি হয়ে মামলায় উল্লেখ করেন, গত ৩০ জুন রাত সাড়ে ১১ টায় ডাকাতিয়া গ্রামের সিদ্দিক মোল্যার ছেলে রফিকুল ইসলামের বাড়ির সামনে এসে টিটো, পিকুল, মনিরুল ইসলাম, আজাদ ও হারুন এসে রফিকুল ইসলামকে ডাক দেয়। কথা আছে বলে বাড়ির সামনে নিয়ে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে জখম করে। বাদি ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা হত্যার হুমকী দিয়ে চলে যায়। বাদিকে গভীর রাতে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় স্থানীয় লোকজন যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বাদি সুস্থ্য হয়ে চিকিৎসা পত্র নিয়ে থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তা আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে ফিরিয়ে দেন। এছাড়া, শ্রীধর পুকুর রোড,নিউ বেজপাড়া রোডের পশ্চিম অংশে হোল্ডিং নং ৩৩৭ আশরাফ হোসেনের ছেলে নুরুজ্জামান মিঠু মোল্যা বাদি হয়ে মামলায় উল্লেখ করেন,গত ২৭ জুন রাত সাড়ে ১১ টায় বাদির বাড়িতে আসামী সুমন মোল্যা, অমিত ও লাল্টু পূর্ব শত্রুতার কারনে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায়। এ সময় বাদির মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। গুরুতর আহত অবস্থায় বাদিকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।