যশোর প্রতিনিধি
যশোরে পৃথক অভিযানে দেড় কোটি টাকার মাদকদ্রব্য সহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার দিবাগত রাত দশটা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটা পর্যন্ত জেলার বেনাপোল পোর্ট থানা ও যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সদস্যরা পৃথক তিনটি মাদক বিরোধী অভিযানে এ বিপুল পরিমানের মাদকদ্রব্যসহ তাদেরকে আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার।
এসব মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে, ১৮৬ কেজি গাঁজা ৭৪৯ বোতল ফেনসিডিল, ভারতীয় প্রসাধনী,ভারতীয় ঔষধ, ভারতীয় বাজি, ১টি ভারতীয় ট্রাক।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার দিকে বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বেনাপোল স্থল বন্দরের ২২ নম্বর সামনে অভিযান চালিয়ে একটি ভারতের ট্রাক আটক করেন। পরে ট্রাকটিতে তল্লাশি করে ১৮৬ কেজি গাঁজা ও ৭৪৯ বোতল ফেনসিডিলসহ ভারতীয় বিভিন্ন প্রসাধনী, ঔষধ এবং বাজি জব্দ করেন। এই ঘটনায় একটি ভারতীয় ট্রাক জব্দ হলেও কোন আসামীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় এবিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য সাথে সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অপর এক অভিযানে, যশোর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রুপণ কুমার সরকারের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আরিফ হোসেন, এসআই শামীম হোসেন ও এসআই সাদ্দাম হোসেনের সমন্বয়ে একটি চৌকস দল জেলার শার্শা উপজেলার শিকারপুর আরিফ হোসেনের বাড়ির সামনে অভিযান চালিয়ে ২৭ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেন।
আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, যশোর বেনাপোল রায়পুর গ্রামের আব্দুল মান্নান মোড়লের ছেলে সালাউদ্দিন (৩৫) ও যশোর কোতোয়ালি থানা এলাকার কৈখালী গ্রামের মকবুল হোসেন মীরের ছেলে মীর আসলাম হোসেন (৪৫)।
প্রেস ব্রিফিংকালে যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বলেন, যশোরে পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ফলশ্রুতিতে গতকাল রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত যশোর জেলা পুলিশের পৃথক ২টি অভিযানে মোট ২১৩ কেজি গাঁজা, ৭৮৯ বোতল ফেনসিডিল, ভারতীয় প্রসাধনী,ভারতীয় ঔষধ, ভারতীয় বাজি ও ১টি ভারতীয় ট্রাকসহ প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। এ সময় মাদকদ্রব্য পাচারের সাথে জড়িত থাকার দায়ে দুই পাচারকারী আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় বেনাপোল পোর্ট থানা ও শার্শা থানায় দু’টি মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানান তিনি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার।