যশোরে যুবলীগ কর্মী রুম্মান হত্যা মামলার আসামি হৃদয় গ্রেফতার

যশোর অফিস
যশোরের পুরাতন কসবা কাঁঠালতলায় যুবলীগ কর্মী হোসাইন মোহাম্মদ রুম্মান (৩৫) হত্যা মামলার আসামি আলিম হোসেন ওরফে হৃদয়কে (২৪) আটক করেছে ডিবি পুলিশ।
গত রোববার রাতে শহরতলীর শেখহাটি বাবলাতলা এলাকা থেকে তাকে একটি বার্মিজ চাকুসহ আটক করা হয়। আরকে হৃদয় ওই এলাকার আব্দুর ছমিরের ছেলে।
আটক হৃদয় সোমবার আদালতে হত্যা সম্পর্কে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঞ্জুরুল ইসলাম ১৬৪ ধারায় ওই স্বীকারোক্তি রেকর্ড করেছেন।
স্বীকারোক্তিতে হৃদয় জানিয়েছে, ‘২৫ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে রুম্মান কাঁঠালতলায় যায়। সেখানে পুরাতন কবসা ঢাকা রোড রায়পাড়া বটতলা ব্রিজের পাশের বজলু খলিফার তিন ছেলে আরিফ হোসেন আরিফ (৩০), মোহাম্মদ আহাদ (২৭), শাহাদৎ হোসেন (২৬)সহ ২০/২৫জন ছিলো। রুম্মান যাওয়ার পর আরিফের সাথে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে আরিফ ও তার দুই ভাইয়ের সাথে মারামারি বাঁধে। তারা চাকু দিয়ে রুম্মানকে আঘাত করে। সে সময় সে (হৃদয়)সহ সকলে রুম্মানকে মারপিট করে চলে যায়। পরে শুনেছি রুম্মান হাসপাতালে মারা গেছে। সেখানে উপস্থিত আসামি মাইমুনকে চিনতে পেরেছি। বাকিরা অপরিচিত।’
পুরাতন কসবা পুলিশ লাইন মাদ্রাসার পেছনের হোসাইন মোহাম্মদ রুম্মান হত্যার ঘটনায় তার ভগ্নিপতি আলীমুজ্জামান আলী ১১জনের নাম উল্লেখ করে কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলার আসামিরা হলো, পুরাতন কবসা ঢাকা রোড রায়পাড়া বটতলা ব্রিজের পাশের বজলু খলিফার তিন ছেলে আরিফ হোসেন আরিফ (৩০), মোহাম্মদ আহাদ (২৭), শাহাদৎ হোসেন (২৬), মোহাম্মদ সিরাজের ছেলে আব্দুর রহমান (২৯), আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে জোনায়েদ শিমুল (২৮), একই এলাকার আরকে হৃদয় ওরফে গেরিলা হৃদয় (২৯), শুভ (২৯), ভাষা (৩০), পুরাতন কবসা কাজীপাড়ার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে ইকরামুল (৩২), শেখহাটি এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে মাইমুন (৩২), উপশহর এলাকার সাজ্জাদ হোসেন (৩০)। এছাড়া অজ্ঞাত ৪/৫জন রয়েছে। নিহত রুম্মান ওই এলাকার লিয়াকত পাটোয়ারির ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই সোলায়মান আক্কাস জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছি-শহরতলীর বিরামপুর এলাকায় এক দম্পতির বিরোধ এবং তালাক সংক্রান্ত কাজের মধ্যস্থতা করে আরিফ, নিহত রুম্মানসহ বেশ কয়েকজন ৬০ হাজার টাকা পায়। ওই টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। সেই বিরোধের সূত্রে রুম্মানকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে আরিফ ও তার সঙ্গীরা। #