যশোর প্রতিনিধি
৫ হাজার যৌতুক দাবি করে গৃহবধূ জান্নাতী বেগম (১৯)কে হত্যার উদ্দেশ্যে গায়ে কেরোসেন ঢেলে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনাটি যশোর সদর উপজেলার মুনসেফপুর বিশ্বাস পাড়া গ্রামে। পুলিশ যৌতুক লোভী স্বামী ফয়সালকে গ্রেফতার করেছে। সে ওই এলাকার মৃত জব্বার বিশ^াসের ছেলে। শুক্রবার বিকেলে মামলাটি করেন যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার রাধানগর মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত এলাহি ধাবকের ছেলে গৃহবধূর পিতা ইমামুল হাসান।
মামলায় ইমামুল হাসান জানান,তিনি একজন ভ্যান চালক। ভ্যান চালিয়ে পরিবার নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। গত বছরের ১০ অক্টোবর তার মেয়ে জান্নাতী বেগমের সাথে ফয়সালের ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বাদির মেয়ে জান্নাতী বেগম ফয়সারের বাড়িতে ঘর সংসার করাকালে জান্নাতীর কাছে ফয়সাল ৫ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে। মেয়ের সুখের কথা ভেবে ফয়সালকে ইমামুল হাসান ভ্যান চালিয়ে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ১৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি টাচ ফোন ২০ টাকার মূল্যের স্বর্ণের আংটি প্রদান করেন। এরপর গত ১৯ ফেব্রুয়ারী দুপুরে জান্নাতী বেগম তার স্বামীর বাড়িতে স্বামী ফয়সালের ঘরে অবস্থান কালে ফয়সাল তার কাছে তৎক্ষকি ৫ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। পিতা গরীব মানুষ তাই জান্নাতী যৌতুকের টাকা এনে দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। ফয়সাল ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে ঘরের মধ্যে আটকে জান্নাতী বেগমের দুই হাত ও পা বেধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। আগুনে জান্নাতীর পরনের কাপড় চোপড় জ¦লতে থাকলে সে ডাক চিৎকার দেয়। ঘটনাস্থলে থাকা জান্নাতীর ছোট ভাই জিয়াদ ঘটনা দেখে ডাক চিৎকার দেয়। গায়ে আগুন থাকা অবস্থায় জান্নাতী বাঁচার জন্য বাড়ির পাশের পুকুরে ঝাঁপ দেয়। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় জান্নাতীকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তারগন ঢাকা বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করলে তাকে সেখানে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হলে পুলিশ যৌতুুক লোভী ফয়সালকে গ্রেফতার করে। শনিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করে