যশোর প্রতিনিধি
যশোর ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতায় গত এক বছরে ১৬ হাজার ৪শ’ ৫৫টি মামলায় ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৯৬ হাজার ৬শ’ টাকা সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে। এর মধ্যে ট্রাফিক বিভাগের গত বছরের নতুন সংযোজন পস মেশিনের ৬ হাজার ৩শ’ ৩৬টি মামলায় ২ কোটি ৪৫ লাখ ১৬ হাজার ৫শ’ টাকা ও পস মেশিন আসার পূর্বে ও বিভিন্ন জটিতলায় এবং পূর্বের বইয়ের ১০ হাজার ১শ’ ১৯টি মামলায় ১ কোটি ১৯ লাখ ৮০ হাজার ১শ’ টাকা জরিমানা আদায় হয়েছে। যা সরকারের রাজস্ব হিসেব গন্য হবে বলে ট্রাফিক পুলিশের সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছেন।
যশোর ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের কার্যালয়ে বর্তমানে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর খন্দকার মশিউর রহমানসহ ৫ জন পুলিশ পরিদর্শক শহর ও যানবাহন, সার্জেন্ট পদে ৭ জনের ৫ জন, টিএসআই ৭জন,এটিএসআই ১০ জন ও ৫০জন কনস্টেবল দায়িত্ব পালন করছেন। যশোর জেলা ও শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট মুক্ত করতে ট্রাফিক বিভাগ যশোরে কর্মরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শহর ও যানবাহন,সার্জেন্ট,টিএসআই ও এটিএসআই দিন রাত পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। দুই শিফটে গোটা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সড়ক গুলিতে দায়িত্ব পালন করে যানজট মুক্ত রাখতে মাঝে মধ্যে দারুন হিমশিম খেতে হয়। তারপরও দায়িত্ব পালনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন। এর মাঝে যশোর শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোষ্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাশী কার্যক্রম পরিচালনা করে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করেন। সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন যানবাহন চলাচলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহন করে জরিমানাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেন।
যশোর ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের কার্যালয়ের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক প্রশাসন খন্দকার মশিউর রহমান জানান, যশোর ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তা ও সদস্যরা গত এক বছরে অবৈধভাবে চলাচলের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৯৬ হাজার ৬শ’ টাকা জরিমান আদায় করেন। যার সরকারের রাজস্ব হিসেবে গন্য হয়। তিনি আরো জানান,বিগত ২০২১ সালের জানুয়ারী মাসে পস মেশিনে ১৪৭টি মামলায় ৫ লাখ ১৯ হাজার টাকা জরিমানা, বইয়ের ২২৮৬ মামলায় ৩০লাখ ৫ হাজার ১ টাকাসহ মোট ৩৫লাখ ২৪ হাজার ১শ’ টাকা জরিমানা,ফেব্রুয়ারী মাসে পস মেশিনে ৩৮টি মামলায় ১লাখ ৪৯ হাজার টাকা,বইয়ের ১৬৭০ মামলায় ১৬লাখ ৫৮ হাজার টাকাসহ মোট ১৮ লাখ ৭ হাজার জরিমানা,মার্চ মাসে পস মেশিনে ১০০টি মামলায় ৩লাখ ৬৪ হাজার ৫শ’ বইয়ের ২৪২৫ মামলায় ২৬লাখ ৮৫ হাজার টাকাসহ মোট ৩০ লাখ ৪৯ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা, এপ্রিল মাসে পস মেশিনে ৯০টি মামলায় ৩লাখ ৪১ হাজার,বইয়ের ২৪১৬ মামলায় ২৪ লাখ ১৪ হাজার টাকাসহ মোট ২৭ লাখ ৫৫ হাজার, মে মাসে পস মেশিনে ৪৮৫টি মামলায় ১৭ লাখ ২৬ হাজার,বইয়ের ৬৪৪ মামলায় ১২ লাখ ৪৭ হাজার ৫শ’ টাকাসহ ২৯ লাখ ৭৩ হাজার ৫শ’ টাকা,জুন মাসে পস মেশিনে ৯৬১টি মামলায় ৩৬লাখ ৬৭ হাজার,বইয়ের ৪৪৭ টি মামলায় ৬লাখ ১৯ হাজার টাকাসহ মোট ৪২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা জরিমানা,জুলাই মাসে পস মেশিনে ৭৪৯টি মামলায় ২৮লাথ ৮০ হাজার টাকা, আগষ্ট মাসে পস মেশিনে ৮০৬টি মামলায় ২৯লাখ ৯৫ হাজার ৫শ’,বইয়ের ১০৩টি মামলায় ১লাখ ৫৬ হাজার টাকাসহ মোট ৩১লাখ ৫১ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা, সেপ্টেম্বর মাসে পস মেশিনে ৬৭১টি মামলায় ২৬লাখ ১৪ হাজার,বইয়ের ১২৮টি মামলায় ১লাখ ৯৫ হাজার ৫শ’ টাকাসহ মোট ২৮ লাখ ৯ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা, অক্টোবর মাসে পস মেশিনে ৬৬৪টি মামলায় ২৫লাখ ৫১ হাজার ৫ শ’ টাকা জরিমানা, নভেম্বর মাসে পস মেশিনে ৮৬৮টি মামলায় ৩৪লাখ ৪২ হাজার টাকা জরিমানা ও ডিসেম্বর মাসে পস মেশিনে ৭৫৭টি মামলায় ৩২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় হয়েছে।