যশোর প্রতিনিধি: চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও অপরাধীরা শহরের রেলষ্টেশন সংলগ্ন আবাসিক হোটেল শাহানাজকে নিরাপদ ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে। প্রকাশ্য দিবালোকে এক যুবক ও শিশু বাচ্চাসহ গৃহবধূকে হোটেলের একটি কক্ষে আটক করে ১লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় চিহ্নিত ৪ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে কোতয়ালি মডেল থানায় শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে মামলা হয়েছে। মামলায় আসামীরা হচ্ছে, শহরের শংকরপুর এলাকার আলী মিয়ার ছেলে কুখ্যাত চাদাবাজ, বোমাবাজ মেহেদী (২৭) তার সহযোগী টিবি ক্লিনিক এলাকার কানা বাবুর ছেলে সুমন ওরফে টেটু সুমন, বেজপাড়া আনসার ক্যাম্প এলাকার অভি,ষষ্টিতলা মোস্তাকের বাড়ির সামনে মনির ছেলে আকাশসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন। মামলাটি করেছেন, যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ খানের ছেলে মহিবুল ইসলাম সাগর।
মামলায় বাদি বলেছেন, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টায় বাদি তার খালাতো বোন সদর উপজেলার জঙ্গলবাধাল গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী রিতা পারভীন ও তার শিশু মেয়ে নুসরাত (২)কেসহ ডাক্তার দেখানোর জন্য যশোর আদ্বদীন হাসপাতালে আসার পথে যশোর রেলবাজার মোড়ে পৌছানোর পর বৃষ্টি শুরু হয়। রিতা পারভীনের শিশু মেয়ে দুধ খাওয়ার জন্য কান্নাকাটি শুরু করলে বেলা পৌনে ১২ টায় আবাসিক হোটেল শাহনাজ হোটেলের সামনে পৌছালে উল্লেখিত আসামীসহ তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন বাদি ও খালাতো বোন রিতা পারভীনকে গতিরোধ করে তাদের মধ্যে সম্পর্কের জানতে চায়। পরবর্তীতে আসামীরা তাদের নিরাপদ ঘাঁটি আবাসিক হোটেল শাহনাজের ভিতরে নিয়ে যায়। হোটেলের ১০৭ নং নিয়ে আটকে রেখে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বাদি ও রিতা পারভীনের কাছে ১লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে। চিহ্নিত অপরাধীরা তাদেরকে বলে চাঁদার টাকা না দিয়ে রুম থেকে যেতে পারবিনা। বাদি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাকে মারপিট করে তার কাছে নগদ ৩ হাজার ৫শ’ টাকা ও সাড়ে ১১ হাজার টাকা মূল্যের অপপো মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। বাদি কৌশলে হোটেল থেকে বের হয়ে এসে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে উক্ত হোটেলে গিয়ে সত্যতা নিশ্চিত হন। স্থানীয় লোকজন জানান, আসামীরা এলাকায় চিহ্নিত তারা উক্ত আবাসিক হোটেলকে পুঁজি করে রেল যাত্রীসহ বিভিন্ন নারী পুরুষকে জিম্মি করে উক্ত হোটেলে তুলে কৌশলে বিভিন্ন কায়দায় ছবি তুলে চাদাদাবি করে থাকে এবং টাকা পয়সাসহ বিভিন্ন মূল্যবান সম্পদ কেড়ে নেয়। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের কাছে থাকা ধারালো চাকু ও দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র থাকায় ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না।
এবিষয়ে কোতয়ালী থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত শেখ তাসমিম আলম বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের আটকের ব্যাপারে পুলিশ মাঠেই আছে।#