যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির জালজালিয়াতি মামলা

বিশেষ প্রতিনিধি
যশোর শহরতলী উপশহর আলিম মাদ্রাসার সাময়িক বরখাস্ত কৃত অধ্যক্ষ জাকারিয়া হোসেনসহ চার জনের নাম উল্লেখসহ তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ২/৩জন উল্লেখ করে কোতয়ালি মডেল থানায় একই উদ্দেশ্য সাধনকল্পে পরস্পর যোগসাজসে প্রতারণা করার জন্য অসাধুভাবে প্রবৃত্ত করে ব্যক্তির মানহানি করনের নিমিত্তে অন্যের নামে সীলমোহর তৈরী করতঃ দখলে রেখে স্বাক্ষর জাল করে খাঁটি হিসাবে ব্যবহার করার অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন, যশোর শহরের ১/৮৮ জেলরোড ঘোপ এর মৃত এ কে এম কাশেমের ছেলে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ যশোর জেলা শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন। আসামীরা হচ্ছে, ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর গ্রামের বর্তমানে যশোর শহরের ৮৯২ পূর্ব বারান্দী মোল্লাপাড়া আমতলার মোড় জনৈক গোলাম মোস্তফার বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত জাহাবক্স বিশ^াসের ছেলে সাময়িক বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ জাকারিয়া হোসেন, নতুন উপশহর ১৪নং ভবন ৮ম তলা ৮/সিডি, রজনীগন্ধ্যা এর মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে নুরুল ইসলাম ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ষাটবাড়িয়া গ্রামের মোশারেফ হোসেনের ছেলে উপশহর আলিম মাদ্রাসার বাংলা প্রভাষক আব্দুল ওহাব ও যশোর সদর উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের মৃত সোলায়মানের ছেলে উপশহর আলিম মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী মফিজুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন।
মামলায় বাদি বলেন, গত ১৮ আগষ্ট হতে পরবর্তী ৬ মাসের জন্য উপশহর আলিম মাদ্রাসার এডহক কমিটির সাভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার কালে পূর্ব শত্রুতা ও প্রতিহিংসা বসত আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে উপশহর আলিম মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতির মনোনয়ন প্রসঙ্গে একটি মনগড়া সুপারিশমালা তৈরী করে সুপারিশমালায় যশোর সদরের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ এর সীলপ্যাড ব্যবহার করে তার সহি জাল জালিয়াতি করে ৩সদস্য বিশিষ্ট একটি এডহক কমিটির তালিকা তৈরী করে গত ২০২০ সালে ১০ আগষ্ট চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বকশীবাজার ঢাকা বরাবর এডহক কমিটির সভাপতি হিসাবে উপশহর সি ব্লক বাসা নং ১৭০ মৃত মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে মোঃ শওকত হোসেন এর মনোনয়ন চেয়ে তালিকা জমা প্রদান করেন। কিন্ত মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড এডহক কমিটির অনুমতি প্রদান না করায় দীর্ঘদিন কমিটি ছাড়া মাদ্রাসার কার্যক্রম চলতে থাকে। উক্ত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সাময়িক বরখাস্ত থাকার কারনে জৈষ্ঠ প্রভাষক হিসেবে মোঃ নজরুল ইসলাম আরবী প্রভাষককে মাদ্রাসার শিক্ষা অধিদপ্তর হতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব ভার অর্পন করেন। তিনি দায়িত্ব পালন করা কালে মুল অধ্যক্ষ না থাকায় এক পর্যায় মাদ্রাসার শিক্ষার অবনতি হওয়ায় যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ এর সুপারিশ মালায় ডিও লেটারে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ গত ১৮ আগষ্ট শহিদুল ইসলাম সভাপতি মনোনয়নসহ এডহক কমিটির অনুমোদন প্রদান করেন। তার পর হতে বাদি সুনামের সাথে মাদ্রাসার সভাপতি দায়িত্ব পালন করাকালে বিবাদীরা পরস্পর যোগসাজস করে উক্ত মাদ্রাসার বর্হিভূত জামাত নেতা নুরুল ইসলামকে উক্ত মাদ্রাসার কমিটির সাথে কোনভাবে সম্পৃক্ত না থাকা সত্বেও জালিয়াতচক্রের মূলহোতা হিসেবে শহিদুল ইসলামকে সমাজে হেয়পতিপন্ন করার লক্ষে বাদির নামে মিথ্যা বদনাম রটিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য সরবরাহ করে কাজী নাবিল আহমেদ এর সীলপ্যাড ব্যবহার করে তার জালজালিয়াতি করা ডিও লেটার সংযুক্ত করে বাদির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন। যার নং ৯৮১৬/২০২১ ইং। সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বিষয়টি জানতে পেরে বিবাদীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করে আসামীদের গ্রেফতার পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার আবেদন জানান। শহিদুল ইসলাম মিলন মামলায় উল্লেখ করেন, আসামীরা জামাতি ইসলামী বাংলাদেদ দলের সক্রিয় সদস্য। যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ এর সাথে আলাপ আলোচনা করে থানায় এজাহার দায়ের করেন বাদী।#