সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জেল হোসেন। প্রধান অতিথি ছিলেন যশোর -৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যশোর পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গনি খান পলাশ, এডিসনাল পুলিশ সুপার জনাব বেলাল হোসাইন, এডিসি (এ) যশোরের জনাব রফিকুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আহসান হাবীব পারভেজ।
সভায় সমবায়ীদের মধ্যে বক্তৃতা করেন উপজেলা সমবায় অফিসার রনজিৎ কুমার দাস, আরবান আর্টিজান্স সমবায় সমিতি লিঃ যশোরের সদস্য অ্যাডভোকেট আবু সেলিম রানা, মোমিননগর সমবায় শিল্প ইউনিয়নের সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন মিঠু, যশোর সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের সভাপতি মোঃ আব্দুস সাত্তার, যশোর ভূমি উন্নয়ন ব্যাংকের সহসভাপতি আহাদুল ইসলাম, জেলা সমবায় ইউনিয়ন লিঃ এর সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
জাতীয় সমবায় দিবস সরকার ঘোষিত একটি জাতীয় দিবস। সমবায় সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা এবং সমবায় আন্দোলনে গতিশীলতা আনতে প্রতিবছর নভেম্বর মাসের প্রথম শনিবার দিবসটি দেশব্যাপী উদযাপন করা হয়।
যথাযোগ্য মর্যাদায় সমবায় দিবস পালনে বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করা হয়। এছাড়া দেশব্যাপী জেলা-উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে দিনটি উদযাপন করা হয়েছে।।।।
বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত সমবায় সমিতির সংখ্যা এক লাখ ৯৬ হাজার ৩১৬টি। এসব সমবায় সমিতির সদস্য রয়েছেন এক কোটি ১৭ লাখ ৭ হাজার ৫১৪ জন। সমবায় সমিতির মূলধন ১৫ হাজার ৪৪২ কোটি ৫৪ লাখ ৫১ হাজার টাকা। সমিতির ভৌত সম্পদ রয়েছে তিন হাজার ৯০৮ কোটি ৬৯ লাখ ৪২ হাজার টাকা। বিনিয়োগকৃত সম্পদ এক হাজার ৭৫৫ কোটি ৩৫ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। মজুত তহবিল এক হাজার ১১৪ কোটি ৯ লাখ ৪১ হাজার টাকা। অর্থাৎ সমবায় সমিতিগুলোর সর্বমোট ফান্ড হচ্ছে— ৬ হাজার ৭৭৮ কোটি ১৪ লাখ ৫১ হাজার টাকা। বিগত সময়ে সমবায় সমিতির মাধ্যমে প্রত্যক্ষভাবে ৯ লাখ ৬৩ হাজার ১৫১ জন মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে বক্তরা উল্লেখ করেন।
সম্প্রতি সমবায় অধিদফতর থেকে তাদের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে সংসদীয় কমিটিতে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের সমবায় সমিতির ৩০ শতাংশই অকার্যকর। অবশিষ্ট ৭০ শতাংশ সমিতির মধ্যে প্রায় অর্ধেক অকার্যকর না হলেও কার্যক্রমের পরিধি তেমন বিস্তৃত নয়। ফলে অবদান দৃশ্যমান নয়। প্রতিবেদনে সমবায় খাতের সমস্যা হিসেবে নিবন্ধিত সমবায় সমিতির সংখ্যা অনুযায়ী জনবল স্বল্পতা ও সমিতি ব্যবস্থাপনায় অনাকাঙ্ক্ষিত স্থানীয় প্রভাবের কথা উঠে এসেছে।
বক্তরা বলেন, আশির দশকে কৃষি সমবায় সমিতিগুলো খুবই কার্যকর থাকলেও বর্তমানে তা প্রায় নিষ্ক্রীয় অবস্থায় আছে। এছাড়া অন্যান্য সমিতির অবস্থাও একই ধরনের। তবে, মৎস্য সমবায় সমিতি, দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিডেট-সহ কিছু সক্রিয় সমিতিও রয়েছে বলে তিনারা জানান।