বিদ্রোহী প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে নৌকা  প্রার্থীর সরে যাওয়ার ঘোষণা

যশোর : যশোরের চৌগাছার জগদীশপুর ইউপির নৌকা প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তবিবর রহমান খান নিজের অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। রোববার (৩১ অক্টোকর) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এ ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে তবিবর রহমান খানের ভাতিজা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য) আজাদ রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমি র্দীর্ঘদিন ধরে জগদীশপুর ইউনয়িন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছি। এবারো আমার প্রতি আস্থা রেখে দলীয় সভানেত্রী আমাকে নৌকা প্রতীক প্রদান করেন। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমি আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে নিজেকে নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে সরিয়ে নিচ্ছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার শারীরিক অসুস্থতার কারণে নির্বাচনের আগেই আমাকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে হবে।’ তবে প্রার্থীতা থেকে সরিয়ে নিলেও তিনি রাজনীতিতে থাকছেন বলে  নিশ্চিত করেন।
জগদিশপুর ইউনিয়নের নৌকার সমর্থকরা জানিয়েছেন, তিনি শারীরিক অসুস্থতার কথা বললেও প্রকৃতপক্ষে পরিবারের সম্প্রীতি বজায় রাখতে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এলাকাবাসি জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় নৌকার একটি পথসভা থেকে কর্মীরা বিদ্রোহী প্রার্থী ও তবিবর খানের আপন ভাতিজা আজাদ রহমান খানের অফিসে হামলা চালায়। এ সময় আজাদ রহমান খান ও তার দুই সমর্থক গুরুতর জখম হন। রোববার (৩১ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনেও তিনি মাথায় ব্যন্ডেজ নিয়ে চাচার পাশে বসে ছিলেন। তবিবর রহমান খান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও নাগরিক। তার স্ত্রী সন্তানরা সেখানেই থাকেন।
এরআগে শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাতে নৌকা সমর্থকদের হামলায় বিদ্রোহী প্রার্থী তার দুই সমর্থকসহ আহত হয়ে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে ভর্তি হন।  পরে বিষয়টি নিয়ে পরিবারের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এরপর পারিবারিক সিদ্ধান্তে নৌকার প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছেন অন্য একটি সূত্র।
নৌকার প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তবিবর রহমান খান বলেন, নৌকার প্রার্থী হিসেবে কাউকে সমর্থন দিতে পারিনা। শারীরিক কারণে নিজেকে নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে সরিয়ে নিয়েছি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফুলসারা ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী মাসুদ চৌধুরী বলেন, আমি এটা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ মনে করছি। নৌকার প্রার্থী এই ইউনিয়নে দীর্ঘদিনের চেয়ারম্যান। সেখানে বারবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয় লাভ করেছে। কয়েকদিন আগেই তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। নৌকা জনপ্রিয় প্রতীক, এখানে আত্মীয়তা করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা তাকে কারণ দর্শনো নোটিশ দেব কি কারণে  তিনি এমন সিন্ধান্ত নিলেন । এটা আমরা কেন্দ্রে লিখিতভাবে জানাবো। বিষয়টিতে আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।