বিশেষ প্রতিনিধি
সম্পত্তি দখলের জন্য পূর্ব শত্রুতার কারনে যশোর শহরের পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ড ১৩২,শহীদ মশিউর রহমান সড়কের এক বাড়িতে হামলা চালিয়ে মারপিট পূর্বক গলায় থাকা ২ভরি ওজনের স্বর্ণের হার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে হত্যার হুমকী দিয়েছে। এ ঘটনায় আদালতের নির্দেশে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা রেকর্ড করেছেন। মামলায় আসামীরা হচ্ছে,যশোরের মণিরামপুর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে ফয়সাল আহমেদ নয়ন,একই উপজেলার জয়পুর গ্রামের নজিন সরকারের ছেলে আবু মুরাদ, চন্ডিপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহিম দফাদারের ছেলে ফজলুর রহমান,ফজলুর রহমানের স্ত্রী মোছাঃ বিলকিস বেগম, ফজলুর রহমানের মেয়ে মোছাঃ দোলা ও মোছাঃ কনাসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬জন। যশোরের মণিরামপুর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের বর্তমানে যশোর শহরের পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ড ১৩২,শহীদ মশিউর রহমান সড়কের ডঃ মোঃ আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী মোছাঃ নাসিমা আক্তার বাদি হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, আসামীরা বাদির জ্ঞাতিগোষ্ঠি। বাদিনীর স্বামী চাকুরী ও সন্তানদের লেখাপড়ার সূত্রে বর্তমান ঠিকানায় বসবাস করছে। অপরদিকে আসামীরা বাদির স্বামীর পৈত্রিক সহায় সম্পত্তি দীর্ঘদিন যাবত জোর পূর্বক অবৈধ ভোগ দখল করে আসছে। বাদি ও তার স্বামী প্রতিবাদ করলে আসামীরা বাদির পরিবারকে খুন জখম এর হুমকী দিয়ে আসছে। ইতিপূর্বে বাদীনিকে আসামীরা কয়েকবার বিভিন্ন কৌশলে হত্যা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ অবস্থা চলাকালে বাদির বড় ছেলে মালয়েশিয়ায় একটি বিশ^বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত ওয়াসেক সাত্তার আবিরকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঢাকার হাতির ঝিল এলাকায় ১নং ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে ফয়সাল আহমেদ নয়ন, আবু মুরাদ বাদির নির্মমভাবে হত্যা করেছে বলে বাদি পিটিশনে উল্লেখ করেন। বাদি উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ মূখ্য মহানগর হামিক আদালত ঢাকাতে সি,আর নং-৫১৪/২০ মামলা দায়ের করেন। যা বিচারাধীন রয়েছে। ইহার জের হিসাবে সকল আসামীরা বাদিসহ তাদের সবাইকে সব সময় মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ ও বল প্রয়োগ করে আসছে। বাদি ও তার পরিবারের সদস্যরা সব সময় ভয়ে আতংকিত থাকে এবং আসামীরা প্রকাশ করতে থাকে যে বাদি ও তার বংশ নির্বংশ করে ছাড়বে তবেই ক্ষান্ত হবে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ অক্টোবর বিকাল ৪ টায় বাদি তার বর্তমান ঠিকানার বাড়ির সামনে রাস্তার উপর ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার থেকে রাস্তার উপর গলির ভিতরে পৌছানো মাত্র পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সকল আসামীরা বাদির গাড়ীর গতিরোধ করে বাদীনিকে জীবনে শেষ করে ফেলার হীন উদ্দেশ্যে বাদীনি গাড়ী হতে নাম মাত্রই সকল আসামীরা বাদিকে ঘিরে ধরে। ফয়সাল আহমেদ নয়ন বাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে মাথা লক্ষ্য করে বাড়ি মারে। লোহার রডের বাড়ি হাত দিলে ঠেকালেও মাথার বাম পাশে লেগে রক্তাক্ত জখম হয়। সকল আসামীরা বাদিকে মারপিট করতে থাকে। এ সময় আসামী দোলা বাদির গলায় থাকা ২ভরি ওজনের স্বর্ণের হার যার মূল্য ১লাখ ৯০ হাজার টাকা, জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়। আসামী কনা বাদির বাদির ভ্যানিটি ব্যাগ হতে জোর পূর্বক নগদ ১৯ হাজার ৭শ’ টাকা জোর পূর্বক বের করে নেয়। আসামীরা বাদির প্রাইভেট কারে ইট নিক্ষেপ করে ৫০ হাজার ক্ষতি সাধন করে। বাদি ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা স্বাক্ষীদের সামনে প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে চলে যায়। বাদিকে আহত অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর বাদি কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা হিসেবে নিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বাদি আদালতের স্মরনাপন্ন হন। আদালতের নির্দেশে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বাদির আদালতে দায়ের করা পিটিশন নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করেন।