যশোর প্রতিনিধি: সদর উপজেলার আরবপুর মাঠপাড়া মৎস্য ভবনের পশে জুয়েল সরদারের স্ত্রী শিরিনা বেগম (২৬)কে পেট্টোল/দার্হ্য পদার্থ গায়ে ঢেলে ঘরের মধ্যে রেখে দরজা আটকে পরিকল্পিতভাবে ঘরের জানালা দিয়ে আগুন ছুড়ে হত্যা করার অভিযোগে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন গৃহবধূর পিতা যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার কায়েমকোলা গ্রামের মৃদ সায়েদ আলী মোড়লের ছেলে খলিলুর রহমান। আসামী করা হয়েছে মৃত মিজানুর সরদারের ছেলে মোঃ জুয়েল সরদার। গত ১৪ অক্টোবর বিকেলে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলাটি নথিভূক্ত করা হয়।
মামলায় খলিলুর রহমান বলেন, জুয়েল সরদার এর প্রথম স্ত্রী দু’টি সন্তান রেখে মারা যাওয়ার পর দেখাশোনার মাধ্যমে বিগত ৩ বছর ৬ মাস পূর্বে পারিবারিক ভাবে বাদির মেয়ে শিরিনা বেগম এর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর ঘর সংসার করাকালে শিরিনা বেগমের জুয়েল সরদারের ঘরে একটি পুত্র সন্তান জাবেদ (২) জন্ম নেয়। জুয়েল সরদারের আগের ঘরের দু’টি ও শিরিনা বেগমের ঘরে একটি সন্তানের বিষয়কে কেন্দ্র করে সাংসারিক মনমানিল্যর সৃষ্টি হয়। যার ফলে জুয়েল সরদার বাদির মেয়ের উপর শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করতে থাকে। গত ১২ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২ টায় শিরিনা বেগম জুয়েল সরদারের ঘরে সাংসারিক কাজকর্ম করতে থাকাকালে পূর্বের ন্যায় জুয়েল সরদারের প্রথম স্ত্রীর সন্তানকে কেন্দ্র করে মনোমানিল্য হলে জুয়েল সরদার রাগাম্বিত হয়ে শিরিনা বেগমকে বলে তোর বেঁচে থাকা দরকার নেই বলে জোর পূর্বক শিরিনার দুই হাত ধরে পেট্টোল/দার্হ্য পদার্থ তার গায়ে ঢেলে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে বাইরে থেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে পরিকল্পিত ভাবে ঘরের দরজা জানালা দিয়ে আগুন ছুড়ে মারে। আগুন গায়ে লেগে শরীরের অধিকাংশ স্থান পুড়ে গুরুত্বর জখম হয়। শিরিনা বেগম ছটফট করলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে বাইরে থেকে দরজা খুলে দিলে গুরুতর জখম অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেখান থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে ওই রাতে পথিমধ্যে মারা যায়।