যশোর প্রতিনিধি
গভীর রাতে সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের জিরাট গ্রামের মেরিন ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ দস্যুতা আইনে মামলা নিয়েছে। ডাকাতেরা বাড়ির সকলকে জিম্মি করে করে নগদ ৮৫ হাজার টাকা,১২ ভরি স্বর্ণালংকর ৩টি মোবাইলসহ সাড়ে ৯ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় রোববার গভীর রাতে দস্যুতা আইনে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন, সদর উপজেলার জিরাট গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে এল,এইচ সাইফুল আহমেদ। মামলায় তিনি অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন দুস্কৃতিকারী উল্লেখ করলেও পুলিম ডাকাতি ঘটনা দস্যুতা হিসেবে রেকর্ড করেছেন।
মামলায় এল,এইচ সাইফুল আহমেদ জানান,তিনি সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের মেরিন ইঞ্জিনিয়র হিসেবে চাকুরীরত অবস্থায় রয়েছেন। মহামারী করোনার কারনে বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে তিনি উক্ত ঠিকানায় নিজ গ্রামের বাড়িতে বসবাস করছেন। গত ৩অক্টোবর রাত দেড়টার সময় নিজ বাড়িতে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় রাত সাড়ে ৩ টায় হঠাৎ দেখেন যে, অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন দুস্কৃতিকারী াতের প্রত্যেকের হাতে দেশীয় হাসুয়া ও রামদা নিয়ে বাদির বসত বাড়িতে প্রবেশ করে তার ছোট ভাই এল,এইচ শামীমুল আহম্মেদ ও তার স্ত্রী নাজমা সুলতানা বাদির ছোট ছেলে ফাইয়াজ আহম্মেদ গনকে গায়ের ওড়না, গামছা দিয়ে হাত-পা বেঁধেদ ঘরের মেঝে ফেলে রাখে এবং চড়থাপ্পর মারে। বাদি ও তার স্ত্রীকে দেশীয় হাসুয়া, রামদা দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাদির ঘরে রক্ষিত ওয়াড্রপে তালা ভেঙ্গে নগদ ৮৫ হাজার টাকা,১২ ভরি স্বর্ণালংকর যার মূল্য ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা,৩টি হাওওয়াই মোবাইল ফোনমগ ৯লাখ ৪০ হাজার টাকা মালামাল রাত ৪ টা ২০ মিনিটে নির্বিঘেœ চলে যায়। ডাকাতেরা অনুমান ৫০ মিনিট যাবত ডাকাতি করে রান্না ঘরের পাশের দরজা খুলে চলে যায়।