যশোর প্রতিনিধি
পূর্ব শত্রুতার কারনে শুক্রবার সন্ধ্যারাতে শহরের বারান্দীপাড়া লিচুতলা ব্রীজের উপর দুই বন্ধুকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনায় ৫ সন্ত্রাসীর নাম উল্লেখসহ তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় আসামীরা হচ্ছে, সদর উপজেলার শেখহাটি গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে সুমন ওরফে ডন সুমন, মবেল, মিলন হোসেনের ছেলে অনিক, মোশারফ হোসেনের ছেলে সাবু ও শেখহাটি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে শান্ত। গ্রেফতারকৃতদের শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
যশোর শহরের লোন ৬৫ অফিসপাড়ার রবিউল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ ঝুমুর বেগমব বাদি হয়ে শুক্রবার ১ অক্টোবর দিবাগত গভীর রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লৈখ করেন, আসামীদের স্বভাব চরিত্র ভালনা। এলাকার সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তার এলাকায় সংঘবদ্ধ ভাবে ঘোরাঘুরি করে এবং বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করে বেড়ায়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামীরা বাদির ছেলে বর্ষনকে মারপিট খুন জখমের হুমকী দিয়ে আসছিল। শুক্রবার ১ অক্টোবর সন্ধ্যারাত ১ টায় বর্ষন শহরের বারান্দীপাড়া লিচুতলা ব্রীজের উপর বাদির ছেলে বর্ষন ও তার বন্ধু সোহানসহ আরো অনেক লোকজন অবস্থানকালে উক্ত আসামীরা হাতে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র ধঅরালো চাকু, লোহার রড, বাঁশের লাঠি সহ বাদির ছেলে বর্ষন ও তার বন্ধু সোহানকে মারপিট শুরু করে। সুমন ওরফে ডন সুমন তার হাতে থাকা ১টি ধারালো চাকু দিয়েঢ বর্ষনের বন্ধু সোহানতে হত্যার উদ্দেশ্যে পেটে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। মবেল তার হাতে থাকা ধারারো চাকু দিয়ে সোহানের ডান পায়ের রানে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। অনিক তার হাতে থাকা চাকু দিয়ে আঘাত করে । বর্ষন ও তার বন্দু সোহান ডাক চিৎকার দিলে আসামীরা দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার সময় হুমকী দিয়ে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় আহত দু’জনকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোহানের অবস্থার অবনতি ঘটলে চিকিৎসকগন তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রের্ফাড করেন। মামলা হওয়ার পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালি মডেল থানার এসআই মহিউদ্দিন আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। #