যশোর প্রতিনিধি: এসপিসি ওর্য়াল্ড এক্সপ্রেস লিমিটেড নামক এ্যাপস নামক খুলে বিভিন্ন স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চক্রের সন্ধ্যান পেয়েছে র্যাব ও পুলিশ। ওই চক্রের একজন এজেন্ট রাসেল হোসেন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। সে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী যুবক যশোর সদর উপজেলার করিচিয়া গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে ইমামুল ইসলাম বাদি হয়ে মঙ্গলবার ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলায় রাসেল হোসেনসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে ৪০৬/৪২০ পেনাল কোড অর্থাৎ অপরাধ মূলক বিশ^াস ভঙ্গ করে প্রতারনার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনেছে। মামলায় পলাতক সহযোগী আসামীরা হচ্ছে, চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ থানার আছলছিলা (আঁচলচিলা) গ্রামের আব্দুল মজিদ, মিসেস রহিমা বেগমের ছেলে উক্ত এসপিসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর এন্ড সিইও আল আমীন প্রধান, তার স্ত্রী শারমিন আক্তার, ডাইরেক্টর এসপিসি, নোয়াখালী জেলার সদর উপজেলার (সুধারাম) থানার পূর্ব শুল্যাকিয়া (মোল্লাবাড়ী পূর্ব শোলকিয়া উত্তর ওয়াপদা) এনামুল হক ও ওজিফা খাতুনের ছেলে এসপিসি ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোঃ ইসহাক, লক্ষীপুর জেলার রায়পুর থানার চরব ংশীূ,ইউপি-২নং চর বংশী মোজাম্মেল আদনান এসপিসি ডাইরেক্টর, মার্কেটিং ডিরেক্টর এসপিসি অর্জুন চ্যাটার্জী, এসপিসি ম্যানেজার এডমিন হেলাল মিয়া,এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ওমর ফারুক, এক্সিকিউটিভ অফিসার হানিফ,এক্সিকিউটিভ অফিসার জসীম,একাউন্টস ম্যানেজার মানিক মিয়া, প্রডাক্ট ম্যানেজার তানভীর আহাম্মেদ,সহকারী প্রজেক্ট ম্যানেজার পাভেল সরকার ও অফিস সহকারী নাদিম মোহাম্মদ ইয়াছির উল্লাহ।
বাদী ইমামুল ইসলাম যশোর মুক্তিযোদ্ধা কলেজের একজন ছাত্র। গত ১০ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৪ টা বেজে ২৫ মিনিটে ফেসবুক ব্রাউজ করাকালীন একটি ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজ নাম এসপিসি ওর্য়াল্ড এক্সপ্রেস লিংক দেখতে পাই। পরে বাদী এ ব্যাপারে এসপিসি ওর্য়াল্ড এক্সপ্রেস সম্পর্কে জানাশোনা আছে এমন একজন যার নাম রাসেল হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করে। রাসেল বাদিকে বলে এসপিসি ওর্য়াল্ড এর একজন এজেন্ট সে। রাসেল বাদীকে এসপিসি ওর্য়াল্ড সম্পর্কে বিস্তারিত বলে। সে বাদিকে গুগুর প্লে ষ্টো থেকে একটি এ্যাপস যান নাম এসপিসি ওর্য়াল্ড এক্সপ্রেস লিমিটেড, লিংক ইন্সটল করে বিনিয়োগ করার জন্য বলে। রাসেল হোসেন বাদিকে এসপিসি ওর্য়াল্ড এ বিনিয়োগ করার জন্য উৎসাহিত করে। সে বাদিকে বলে এসপিসিতে ১২শ’ টাকা দিয়ে একটি আইডি ক্রয় করে প্রতিদিন একটি বিজ্ঞাপন দেখলে ১০ টাকা করে মাসে ৩শ’ টাকা আয় করা যায় বলে। বাদি রাসেল হোসেনকে মোট ৩৬ হাজার ২শ’ ৫০ টাকা দেয়। রাসেল বাদিকে মোট ৫১টি আইডি করে দেয়। রাসেলকে বিশ^াস করে ৫১টি আইডি ক্রয় করে বাদী তার বন্ধু মশিয়ার রহমান, রানা আহম্মেদ, রানা হোসেন, সাগর হোসেন, রাজা হোসেন, শিহাব হোসেন,রাসেল হোসেনসহ আরো অনেকে উক্ত প্রতিষ্ঠানে গ্রেফতারকৃত আসামী রাসেল হোসেনের মাধ্যমে টাকা দিয়ে বিনিয়োগ করে। এভাবে এ্যাপস থেকে ৬ মাস যাবত বিজ্ঞাপন দেখে ওই এ্যাপস ওয়ালেটে বাদীর ৫৪ হাজার টাকা জমা হয়। এ্যাপস থেকে ক্যাশ আউট করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বাদী রাসেল হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সে মোবাইল বন্ধ করে। পরবর্তীতে বাদি মঙ্গলবার ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩ টার পর রাসেল হোসেনকে যশোর জেলার সদর উপজেলার করিচিয়া গ্রামের বাগেরহাট বাজারস্থ আশিকুল ইসলামের টি স্টল এর সামনে রাস্তার উপর আসলে বাদিসহ তার বন্ধুরা আটক করে। পরে র্যাব-৬ টহলদল চলে আসলে তাদেরকে বিস্তারিত বললে রাসেল হোসেনকে র্যাবের সহযোগীতায় কোতয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করে। পরে জানতে পারেন বাদীসহ সারাদেশের অসংখ্য সাধারণ মানুষের নিকট থেকে বিনিয়োগের নামে টাকা সংগ্রহ করে প্রতারণা মূলক বিশ^াসভঙ্গ করে অর্থ আত্মসাত করছে।#
যশোরে ক্লিনিক থেকে নবজাতক শিশু চুরির প্রধান আসামীসহ
তিনজন গ্রেফতার শিশু উদ্ধার ২ জনের আদালতে জবানবন্দি
বিশেষ প্রতিনিধি
গত ২৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ও ২৯ সেপ্টেম্বর বুধবার পিবিআইয়ের অব্যাহত অভিযানে নাভারণ ক্লিনিক হতে নবজাতক চুরির সাথে জড়িত তিন সদস্য আটক হয়েছে। গ্রেফতার কৃতরা হচ্ছে, ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া হাজিরবাগ গ্রামের শাহীনের স্ত্রী মোসাঃ নাছিমা খাতুন, ঝিকরগাছা উপজেলার রায়পটন গ্রামের ইয়াকুবের ছেলে সাজু ও বেনাপোল পোর্ট থানার অন্তর্গত বিত্তি আঁচড়া গ্রামের সুজন হোসেনের ছেলে রিংকু চক্রবর্তী ওরফে রিংকু।
পিবিআই সূত্রে জানাগেছে, গত ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ঝিকরগাছা উপজেলার মধুখালী গ্রামের মৃত সাদেক আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ রেকসনা খাতুন শার্শা থানাধীন উত্তর বুরুজ বাগান গ্রামের নাভারণ ক্লিনিক এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি মেয়ে সন্তান জন্ম দেন। পরবর্তীতে ৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ২ টা বেজে ২০ মিনিটের মধ্যে সকলের অগোচরে ক্লিনিকের বিছানা থেকে ১ দিনের নবজাতক শিশু মেয়ে চুরি হয়। উক্ত সংক্রান্ত যশোর জেলার শার্শা থানায় মামলা হয়। যার নং ১৪,তারিখ ৮/৯/২১ ধারা, মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ১০(২)। উক্ত মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জিয়াউর রহমান মঙ্গলবার ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সোয়া ৬ টায় অভিযান চালিয়ে শিশু চুরির সাথে জড়িত মোসাঃ নাছিমা খাতুন, সাজুকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক বুধবার ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৪ টায় নবজাতক চুরির সাথে জড়িত প্রধান অভিযুক্ত রিংকু চক্রবর্তীকে তার নিজ বাড়ি হতে গ্রেফতার করে পিবিআই এর চৌসকদল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, ঘটনার দিন রিংকু চক্রবর্তী ও সাজু উক্ত ক্লিনিক হতে নবজাতক চুরি করে নাসিমা খাতুনের কাছে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে। এর পর গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে নাছিমা খাতুন ও সাজুদ্বয়কে বুধবার জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ সাইফুদ্দিন হোসাইনের আদালতে সোপর্দ করা হল