যশোর প্রতিনিধি: স্ত্রীকে অপহরণ করে ভারতে পাচার, খুন ও গুম করার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। অভয়নগর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মাহবুব রহমান বাদী হয়ে সাত জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫জনের বিরুদ্ধে গত রোববার যশোর আদালতে মামলা করেন। অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আহমেদ মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করাসহ অপহৃত শারমিন খাতুনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালানোর জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া স্কুল সংলগ্ন ইলিয়াস হোসেন ও তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম, অভয়নগর উপজেলার চেঙ্গুটিয়া-বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের ইদ্রিস আলী মোল্যা, তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম, ছেলে এনামুল হোসেন, রশিদ মোল্যার স্ত্রী রবেজান বেগম এবং গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মাঠলা গ্রামের মৃত মমিন উদ্দিন শেখের ছেলে মজিবর রহমান শেখ।
বাদী মাহবুব রহমান যশোরের অভয়নগর উপজেলার চেঙ্গুটিয়া-বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে। তিনি স্ত্রী শারমিন খাতুন ও ৯ বছর বয়সের ছেলে ইয়ানুরকে নিয়ে যশোর শহরের বকচর হুশতলা হিরু মিয়ার বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন। এই মামলার আসামি মজিবর রহমান শেখের কু-নজর পড়ে বাদীর স্ত্রী শারমিন খাতুনের উপর। বিভিন্ন সময়ে তার ভাড়া বাসার সামনে দিয়ে চলাফেরার করার কু-প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অপহরণ ও খুন, গুমসহ নানা ধরণের ক্ষতি করার হুমকি দেয়।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে বাদী বাসার বাইরে ছিলেন। এসময় আসামিরা এসে তার ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে ঘরে থাকা ব্যবসায়ীক ৪৭ হাজার টাকা লুটপাট করে নেয়। একই সময় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তার স্ত্রী শারমিন খাতুনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বাদীর ধারনা আসামিরা তার স্ত্রীর স্বতীত্ব হরণ, ভারতে পাচার, খুন ও গুম করতে পারে।