যশোর প্রতিনিধি
কেশবপুরে বিয়ের নাটক সাজিয়ে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদালতে ওই ভুক্তোভুগি বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার আসামিরা হলেন, কেশবপুর উপজেলার চাঁদরা গ্রামের অমেদ আলী দফাদারের ছেলে মাহবুব হাসান নাদিম ও আলতাপোল গ্রামের মৃত ছামছুর সরদারের ছেলে বাবলু হোসেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ভারপ্রাপ্ত বিচারক নিলুফার শিরিন অভিযোগ আমলে নিয়ে সিআইডি যশোরকে তদন্তকরে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, আসামি নাদিম বিভিন্ন তিন বছর আগে বাদীর প্রবাসী স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করে ফুসলাইয়ে বিয়ে করে। এরপর বাদী ও নাদিম বাদীর বাবার বাড়িতে সংসার করে। বিয়ের পর অত্যাচার চালায় নাদিম। একপর্যায় তাকে তালাক দেয় নাদিম। এরপর বাদী চলতি বছরের ৬ মে আদালতে মামলা করেন। মামলার পর নাদিম তার সাথে মিমাংশা করে নিয়ে ফের যশোরের একটি কাজী অফিসে বিয়ে করে। এরপর আবারো বাদীর বাড়িতে দুইজন থেকে সংসার করে। সর্বশেষ গত ২১ আগস্ট সকাল ১১ টায় বাদীর নাদিম বাদীর ৫০ হাজার টাকা ও কাপড় চোপড় নিয়ে নাদিম বাড়িথেকে চলে যেতে যায়। এসময় বাদী বাধা দেয়। নাদিম তাকে জানায়, কাজী অফিসে যেয়ে যে বিয়ে হয়েছে সেটা সাজানো নাটক। ২নং আসামি সহায়তায় জালকাবিন নামায় বিয়ে করেছে বলে নাদিম চলে যায়। বাদীর অভিযোগ গত একবছর যাবত নাদিম তাকে বিয়ে না করে ধর্ষণ করেছে। যার সহযোগিতা করেছে বাবলু।