যশোর প্রতিনিধি
যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ নির্বাচন আগামী ৭ অক্টোবর। আসন্ন এ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের অন্তত দু’ডজন নেতা। তাদের মধ্যে কয়েকজন ইতিমধ্যেই ঢাকায় ধানমন্ডির কেন্দ্রীয় দফতর থেকে দলীয় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে অন্তত সাত জন নারী রয়েছেন।
যশোর-৬ কেশবপুর আসনের উপ নির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হতে যশোর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার। এতে চেয়ারম্যান পদ শুন্য হলে গত বছরের ২০ অক্টোবরের উপ নির্বাচনে সদর উপজেলার নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন নূর জাহান ইসলাম নীরা। কিন্তু তিনি চলতি বছরের ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এতে সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদ আবারও শুন্য হয়। এরপর থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল। আর এরই মাঝে গত বৃহস্পতিবার যশোর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে উপ নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সে তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ অক্টোবর ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
ইসি তফসিল ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ। কেননা, ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ফরম বিক্রি ও জমাদানের নোটিশ দিয়েছে। আগামী ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ ফরম সংগ্রহ করে জমা দিতে হবে। শোনা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের অন্তত দুই ডজন নেতা দলীয় মনোনয়ন পেতে শুধু লবিং-গ্রুপিংই করছেন না, তারা ঢাকাতেও দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। তাদের কেউ কেউ ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ফরম সংগ্রহ করেছেন। এ ছাড়াও অন্যান্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দু’একদিনের মধ্যেই দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে তা জমা দেবেন।
একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, যশোর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদের উপ নির্বাচনে যারা দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন তারা হলেন, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি মরহুম আলী রেজা রাজুর স্ত্রী ফিরোজা রেজা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম এডভোকেট শরীফ আব্দুর রাকিবের স্ত্রী সাবেক এমপি আলেয়া আলেয়া আফরোজ, যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সহ সভাপতি মেহেদী হাসান মিন্টু, সহ সভাপতি হুমায়ুন কবীর কবু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা ফরিদ আহম্মেদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট আবু সেলিম রানা, কাজী বর্ণ উত্তম, দেলোয়ার হোসেন দীপু, এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল, জিয়াউল হাসান হ্যাপি, এডভোকেট সেতারা খাতুন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লাইজু জামান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম, শহর আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা ফিরোজ খাঁন, জেলা পরিষদ সদস্য হাজেরা পারভীন, উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, ভাইস চেয়ারম্যান জ্যোৎ¯œা আরা মিলি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ফয়সাল খান, সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বিপুল, জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ মুনির হোসেন টগর ও মাশুক হাসান জয়। এ ছাড়াও বিচ্ছিন্নভাবে আরও কয়েকজন নেতার নাম শোনা যাচ্ছে।
এসব নেতার মধ্যে ইতিমধ্যেই হাজেরা পারভীন, দেলোয়ার হোসেন দীপু ও শাহারুল ইসলাম কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে নিশ্চিৎ হওয়া গেছে। এখন দেখার বিষয়, যশোর সদর উপজেলায় কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি। কে পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন তা দেখার অপেক্ষায় যশোরের মানুষ।
জানতে চাইলে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মোহিত কুমার নাথ বলেন সদর উপজেলায় তিনি যদি দলীয় মনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হন তাহলে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সিমাবদ্ধতার ভিতর সততা ও নিষ্ঠার সাথে উপজেলা পরিষদ পরিচালনা করবেন৷ যশোর শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি এড.আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন তিধি সততা নিষ্ঠার সাথে উপজেলা পরিষধ পরিচালনা করবেন৷ জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মেহেদী হাসান মিন্টু বলেন উপজেলা চেয়ারম্যানের সিমাবদ্ধতার ভিতর সততা এবং নিষ্ঠার সাথে উপজেলা পরিষদ পরিচালনা করবেন৷ জেলা আওয়ামীলীগ সহ সভাপতি হুমায়ন কবির কবু বলেন উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্বের সিমাবন্ধতা রেখে সততা এবং নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করবো৷ উপজেবা পরিষদকে দূর্নিতী মুক্ত রাখবো৷ আমার ব্যাক্তি সার্থে ক্ষমতার অপব্যাবহার করবো না৷ এছায়াও একাধিক মনয়ন প্রত্যাসিকে ফোন দেওয়া হলে ফোন রিসিভ করেন নাই৷