যশোর প্রতিনিধি
যশোরের বাঘারপাড়ায় ধর্ষণের অভিযোগে আটক সাকিল হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার জুডসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম আসামির জবানবন্দি গ্রহন শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আটক সাকিল হোসেন বসুন্দিয়া ইউনিয়নের শাহ আলমের ছেলে। আদালতে সাকিল জবানবন্দিতে জানান, ভিকটিমের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু ভিকটিমের পরিবারথেকে তা মেনে নেয়নি। ফলে মেয়ে তার কাছে চলে আসে। একই আদালত ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহন করে পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করেন।
এরআগে শনিবার বিকালে বাঘারপাড়ার বাসুয়াড়ি ইউনিয়নের আলাদীপুর বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত কক্ষ থেকে ওই যুবককে আটক করা হয়। ভিকটিম খুলনার আটরা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী।
ভিকটিমের পিতা মামলায় উল্লেখ করেন, সাকিল হোসেন ২-৩ মাস তার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যায়। পরে মেয়ের মোবাইল নম্বর নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে শনিবারে আমার মেয়েকে খুলনা থেকে বাঘারপাড়ায় এনে ধর্ষণ করে। পরে মেয়ে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে ভিকটিমকে উদ্ধার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাঘারপাড়া থানার এসআই সঞ্জয় কুমার সাহা জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ আসামী সাকিল হোসেনকে আটক করে এবং ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠায়। পরে আদালতের নির্দেশে ভিকটিমকে পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়।