যশোর প্রতিনিধি: যশোরের শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকুল হোসাইনসহ পাঁচজনকে খুলনা থেকে তুলে ঢাকায় নিয়ে অস্ত্রসহ আটক দেখানো হয়েছে বলে দাবি তার পরিবারের।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি করেন তার স্ত্রী নাদিরা আক্তার লাইজু।
তার দাবি, ব্যবসায়িক কাজে গত ৩০ আগস্ট সোমবার আকুল খুলনায় যাচ্ছিলেন। ওইদিন বিকালে তাদের সাথে মোবাইল ফোনে আকুলের সর্বশেষ কথা হয়। অথচ, পুলিশ দাবি করেছে তাকে ৩১ আগস্ট ভোর রাতে অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর ভোরে আটক করেছে। মূলত তাকে খুলনা থেকে তুলে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে দুইদিন পর অস্ত্র দিয়ে আটক দেখানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আকুলের স্ত্রী নাদিরা আক্তার লাইজু। এসময় তার সাথে ছিলেন আকুলের ভায়রাভাই ওহিদ হোসেন, শালিকা ফারহানা ইয়াসমিন, ভাইপো সিফাত হোসেন সজল।
সংবাদ সম্মেলন থেকে আকুলসহ তার সঙ্গী এবং যেসব পুলিশ কর্মকর্তা তাদের আটক করেছেন ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে ওই সময় তারা কোথায় ছিলেন তা শনাক্ত করে বিষয়টির প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের জন্য সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আকুল হোসাইন, আব্দুল আজিম, ইলিয়াস হোসেন, মিলন হোসেন ও ফজলুর রহমান প্রতিষ্ঠিত সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী। তারা একসাথে ব্যবসায়িক কাজে খুলনায় যাচ্ছিলেন। এ সময় ডিবি পুলিশের গুলশান জোনের ডিসি মশিউর রহমান ও এডিসি কামরুজ্জামান তাদের খুলনা থেকে তুলে ঢাকায় নিয়ে যান। পরে অস্ত্রসহ আটকের নাটক সাজানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, ডিএমপির মিডিয়া সেন্টার থেকে সংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দেয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, আকুল ২০১৪ সাল থেকে অস্ত্র ব্যবসার সাথে জড়িত। এই সময়ে তিনি ২০০ অস্ত্র বিক্রি করেছেন। অথচ, তার নামে অস্ত্র তো পরের কথা চোরাচালানের সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো মামলা নেই। সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আকুল হুসাইনের রাজনৈতিক পরিচয়ও তুলে ধরা হয়। বলা হয়, ১/১১ অবৈধ সরকারের সময় আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আটকের প্রতিবাদে যশোরে প্রথম যে ২৪ জন মিছিল করেছিলেন আকুল তাদের একজন। তিনি দীর্ঘদিন যশোর জেলার শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে।