যশোর প্রতিনিধি : যশোরে গত ২৪ ঘন্টায় তিনজন খুন হয়েছে। তারা হলো, মণিরামপুর উপজেলার সালামতপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন (৬৭), যশোর সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা বাবুবাজার এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মিল শ্রমিক মিলন হোসেন (৪৫) এবং একই উপজেলার বোলপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে সিএনজি চালক রাশেদ আহমেদ (২৮)
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ফতেপুর ঋষিপাড়ার পাশে একটি ঘাস ক্ষেত থেকে সাখাওয়াতের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সাখাওয়াতের স্ত্রী নুরবানু জানান, সোমবার (৩০ আগস্ট) সকালে শার্শার উপজেলার পান্না পাড়ার গ্রামের কুতুব উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি তাকে ডেকে নিয়ে যায়। সারাদিন কোন সংবাদ পেলেও মঙ্গলবার তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। কি কারণে কারা এ হত্যা কান্ড ঘটিয়েছে তা তিনি জানেন না বলে জানান। ঝিকরগাছা থানার এস আই নাহিয়ান মিল শ্রমিক সাখাওয়াতের লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মিলন হোসেনের ছেলে বিপ্লব হোসেন জানান, তার পিতার দাদার বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায়। সেখানে জমির ভাগ বুঝে নেয়ার জন্য ২৮ আগস্ট বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তার বাবা নিখোঁজ ছিলেন। মঙ্গলবার ফেসবুকে তার বাবার ছবি দেখে লাশ শনাক্ত করা হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান জানান, রাতে কে বা কারা মিলন হোসেনকে হত্যা করে ফেলে গেছে। তার পেটে ও বুকে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পেট থেকে নাড়িভুড়ি বের হয়ে গেছে। তার পকেটে ইয়াবা সেবনের জন্যে ব্যবহৃত কয়েন পাওয়া যায়। তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে যশোর আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে সিএনজি চালক রাশেদ আহমেদকে গত ১৯ আগস্ট রাত ৮ টা দিকে বোলপুর গ্রামের খোকনের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম নেতৃত্বে বোলপুর ব্রিজের পাশে রাশেদকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করা হয়। গুরুতর অবস্থায় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাশেদের অবস্থার অবনিত হলে ২০ আগস্ট রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক। বুধবার (৩১ আগস্ট) সেখান থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফেরে। রাত ৮ টার দিকে তার অবস্থার অবনতি হয়। রাত সাড়ে ৮ টায় রাশেদকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুর রশিদ মৃত ঘোষণা করেন। লাশ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।