দেশে একজনের শরীরে এইচএমপি ভাইরাস শনাক্ত মনে চলতে হবে যে সব নির্দেশনা

ঢাকা টাওয়ার ডেক্স: বাংলাদেশে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবারের শীতে চীনে ছড়িয়ে পড়া হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি নিয়ে। একইসঙ্গে অধিদপ্তর এ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাতটি নির্দেশনাও দিয়েছে। এছাড়া সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

দেশে একজনের শরীরে এইচএমপি ভাইরাস শনাক্তের পর রবিবার (১২ জানুয়ারি) এই সতর্কতা জারি করল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আক্রান্ত ওই নারী রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি। ৩০ বছর বয়সী ওই নারীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, চীনসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে এইচএমপি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং তীব্রতা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। বিশেষ করে ১৪ বছরের কম বয়সি শিশু এবং ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সি ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। সেইসঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন— হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, গর্ভবতী মহিলা এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।

অধিদপ্তর বলছে, অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও এই রোগের সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। চীন ও অন্যান্য দেশে এর প্রাদুর্ভাবের ফলে বাংলাদেশে ভাইরাসটির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা আবশ্যক। এর জন্য সকল যন্ত্র সেবাকেন্দ্র এবং পয়েন্টস অব এন্ট্রি সমূহে স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করা প্রয়োজন।

আর এমন প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে এ ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে কয়েকটি নির্দেশনা অনুসরণ করার পাশাপাশি জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সংক্রমণ প্রতিরোধে যেসব নির্দেশনা:

>>শীতকালীন শ্বাসতন্ত্রের রোগসমূহ হতে নিজেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।

>>হাঁচি ও কাশির সময় গামছা বা টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন।

>>ব্যবহৃত টিস্যুটি অবিলম্বে ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।

>>আক্রন্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন এবং কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।

>>ঘন ঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোন (অন্তত ২০ সেকেন্ড)

>>অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ ধরবেন না।

>>জ্বর, কাশি এবং শাসকষ্ট আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকুন। প্রয়োজন হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) ইউনিট পরিস্থিতির ওপর সর্তক দৃষ্টি রাখছে জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এইচএমপিভি অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের রোগের মতো ফ্লু এর উপসর্গ সৃষ্টি করে। এটি সাধারণত ২ থেকে ৫ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তাই আতঙ্কিত হওয়ায় কিছু নেই।