বিশেষ প্রতিনিধি
চার বছর পর যশোর শহরতলী ঝুমঝুমপুর এলাকায় রহমান ওরফে রুমান হত্যা মামলার আসামী আমিনুর হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই দপ্তরের একটি টিম। সে যশোর সদর উপজেলঅর ঝুমঝুমপুর গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে। গত ২৪ আগষ্ট রাত সাড়ে টায় পিবিআইয়েল একটি চৌকসটিম নারায়নগঞ্জ পুলিশের সহায়তায় আমিনুর হোসেনকে নারায়গঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন সোনাপুর কাচপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
পিবিআই সূত্রে জানাগেছে, বিগত ৩১/০৩/২০১৭ সকাল অনুমান ১০ টায় আঃ রহমান @ রুমান (২১), পিং-মোঃ আশরাফ ফকির, সাং-সিতারামপুর পশ্চিমপাড়া, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর এর মৃতদেহ বস্তাবন্দি অবস্থায় কোতয়ালী থানাধীন ঝুমঝুমপুর চান্দের মোড়ের পাশর্^বর্তী জনৈক জাহাঙ্গীর এর বাড়ির পাশের্^র নদীতে কচুরিপানার ভিতর থেকে উদ্ধার হয়। ঘটনা সংক্রান্তে নিহত রুমানের মা আমেনা বেগম বাদী হয়ে কোতয়ালী থানার মামরা নং-০২, তারিখ-০১/৪/২০১৭ ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড দায়ের করেন। মামলটি রুজু হওয়ার পর যশোর জেলা পুলিশ মামলাটি ১৪ দিন তদন্ত করেন। মামলাটি সিআইডির সিডিউলভুক্ত হওয়ায় ১৬/৪/২০১৭ যশোর সিআইডি মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে মামলার তদন্তশেষে ০৭ জন আসামীর বিরুদ্ধে যশোর জেলার কোতয়ালী থানার অভিযোগ পত্র নং-৬৩৯, তারিখ-১৬/৯/২০১৯ ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত বাদীর নারাজীর প্রেক্ষিতে মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য পিবিআই, যশোর জেলাকে নির্দেশ প্রদান করেন। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে উক্ত মামলাটি পিবিআই, যশোর জেলা গ্রহণ করে মামলার তদন্তভার এসআই (নিঃ) শরীফ এনামুল হক এর উপর অর্পণ করে। আমিনুর হোসেন গ্রেফতার হওয়ার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানান, আঃ রহমান @ রুমান অভিযুক্ত আমিনুর হোসেনের গ্রামের জামাই। নিহত আঃ রহমান পুলিশের একজন সোর্স ছিল। হত্যাকান্ডের কিছুদিন পূর্বে আঃ রহমান অভিযুক্ত আমিনুর হোসেনের বড়ভাইকে অস্ত্রসহ পুলিশে ধরিয়ে দেয়। এছাড়াও ঝুমঝুমপুর ও আশেপাশের এলাকার মাদক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত লোকদের পুলিশে ধরিয়ে দেয়। এতে অভিযুক্ত আমিনুর হোসেন এবং তার সহযোগীরা আঃ রহমানের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পনানুযায়ী ঘটনার দিন ও সময়ে আঃ রহমানকে হত্যা করে মৃতদেহ বস্তা বন্দি করে নদীতে ফেলে দেয় মর্মে স্বীকার করে। অভিযুক্ত আমিনুর রহমান’কে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (১ম শ্রেণির ক্ষমতাপ্রাপ্ত) আদালত যশোরের বিচারক মামুনুর রহমানের আদালতে সোপর্দ করা হলে সে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে। মামলার তদন্ত অব্যহত রয়েছে বলে পিবিআই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।