যশোরে মাদ্রাসায় প্রধান শিক্ষক কর্তৃক শিশু শিক্ষার্থী বলৎকারের ঘটনায় মামলা

CREATOR: gd-jpeg v1.0 (using IJG JPEG v62), quality = 90?
বিশেষ প্রতিনিধি
সদর উপজেলার ভাটপাড়া দারুস সুনøাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক নাঈম ইসলাম কর্তৃক ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মহিদুল ইসলাম (১৩) বলৎকারের শিকারের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। উক্ত মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক নাঈম ইসলাম খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা থানার সুরখালী গ্রামের বাসিন্দা ও যশোর ১১ নং রামনগর ইউনিয়নের ভাটপাড়া দারুস সুনøাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন। গত রোববার ৩ নভেম্বর রাতে মামলাটি করেন, যশোর সদর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের মোতালেব গাজীর ছেলে আশরাফুজ্জামান।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, বাদির আিিশ্রত যশোর সদর উপজেলার হাটবিলা গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে মহিদুল ইসলাম  উক্ত মাদ্রাসায় থেকে পড়াশুনা করে। উক্ত মহিদুলের পিতা মাতা অত্যন্ত দরিদ্র হওয়ায় আলোচনার মাধ্যমে বাদি মহিদুলকে দেখভাল করেন। লম্পট নাঈম ইসলাম মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হওয়ার সত্বেও তার স্বভাব চরিত্র ভাল না। দুঃশ্চরিত্র ও লম্পট প্রকৃতির। ইতিপূর্বে উক্ত নাঈমের সম্পর্কে অনেক খারাপ কথাবার্তা ওঠে। উক্ত নাঈম ইসলাম শিশু শিক্ষার্থীকে খারাপ কাজ কথা নিজের লিঙ্গ চোষা ও বলৎকার করার জন্য ফুসলাতো। শিক্ষকের কথা না শুনায় অকারনে শিশু শিক্ষার্থীতে মারপিটসহ বকাবকি করতো। গত ২৯ অক্টোবর রাত ১০ টার সময় উক্ত শিশু শিক্ষার্থী মাদ্রাসার ছাত্রদের থাকার রুমে ঘুমিয়ে ছিল। উক্ত লম্পট প্রধান শিক্ষক নাঈম কৌশলে পড়াশুনার বিষয় জরুরী কথা আছে বলে তার কক্ষে নিয়ে জোর পূর্বক পরনের পায়জামা ও পাঞ্জাবী খুলে  বলৎকার করে। বিষয়টি কাউকে বললে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেওয়ার হুমকী দেয়। পরবর্তীতে উক্ত লম্পট প্রধান শিক্ষক নাঈম শিশু শিক্ষার্থীতে ডাকলে সে বিষয়টি বাদিকে জানায়। বাদি বিষয়টি শিশু শিক্ষার্থীর মা বাবাকে জানায়। উক্ত ঘটনা মাদ্রাসার শিক্ষকদের অবহিত করে। এ ঘটনায় মামলা করার পর লম্পট নাঈম ইসলাম পালিয়ে গেছে। সোমবার ৪ নভেম্বর নাঈম আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।