কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি ॥
কেশবপুরের উৎস্য ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীরের নেতৃত্বে একটি টিম ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত ভিন্নখাতে নিতে ইতিমধ্যে একটি মহল মাঠে নেমেছে। তারা ভুক্তভোগী জাকির হোসেনকে বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক রিপোর্ট প্রদানের জন্য ভুক্তভোগীরা দাবি জানিয়েছেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে একাধিক ভুক্তভোগীদের অভিযোগ উঠে এসেছে। ভুক্তভোগীরা স্বাস্থ্য বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে উৎস্য ডায়াগনষ্টিক মালিকের অন্য প্রতিষ্ঠান আলোচিত মর্ডাণ হাসপাতালের বিতর্কিত কর্মকান্ডের তদন্তের দাবি জানান।
জানাগেছে, গত ২২ অক্টোবর পৌর এলাকার মধ্যকুল গ্রামের মৃত মকবুল হোসেন দাফাদারের ছেলে জাকির হোসেন তার ৮ বছরের কন্যা রশ্মীকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। চিকিৎসক তাকে পরীা নিরীা শেষে সিবিসি ও ইউরিন পরীার পরামর্শ দেন। ওই পরীা দুটো করানোর জন্য মর্ডাণ হাসপাতালের শাখা উৎস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তিনি তার মেয়েকে নিয়ে যান। তিনি সেখান থেকে সিবিসি ও ইউরিন পরীার রিপোর্ট নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের কাছে যান । রিপোর্ট দুটো দেখে ডাক্তার তাকে বলেন রিপোর্টে ভুল আছে। ভুল রিপোর্ট অনুযায়ী ঔষধ প্রেসক্রিপশন করলে রোগীর মূত্যু হতে পারে বলেও জানান চিকিৎসক।
ঘটনাটি উল্লেখ করে রোগীর পিতা জাকির হোসেন তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ২২ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর বলেন, ইউএনও মহোদয়ের মাধ্যমে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছি। ইতিমধ্যে দুই সদস্যের বোর্ড গঠন করা হয়েছে। দ্রুত তারা রিপোর্ট প্রদান করবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, অভিযোগের তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।