যশোরে পুলিশের ডিএসবি’র কর্তা পরিচয়ে টাকা আত্মসাত ॥ প্রতারক গ্রেফতার

বিশেষ প্রতিনিধি
পুলিশের ডিএসবি’র কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে সাড়ে ৩লাখ টাকা হাতিয়ে তালবাহনা করায় কাজী আহসান কবীর নামে এক প্রতারককে জনগণ ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে। সে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার কিসমত ইলিশপুর গ্রামের বর্তমানে যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাঠি কুন্ডুপাড়া জনৈক আলগীরের বাড়ির ভাড়াটিয়া কাজী আবুল কাশেম ও মোছাঃ মেহেরুন নেছার ছেলে। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় বুধবার দুপুরে মামলা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতারককে বুধবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছে।
যশোর সদর উপজেলার বড় হৈবতপুর গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে মিন্টু আলী বাদি হয়ে বুধবার ২৫ আগস্ট দুপুরে কোতয়ালি মডেল থানায় প্রতারক কাজী আহসান কবীরকে আসামী করে মামলা দেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, উক্ত কাজী আহসান কবীরের সাথে সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলার হাবিবুরের মাধ্যমে পরিচয় হয়। উক্ত আসামী নিজেকে ডিএসবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে বলে সে বড় পদে চাকুরী করে। সে বলে যে কোন মুহুর্তে লোকজনদেরকে চাকুরী দিতে পারে। বাদি প্রতারকের কথায় বিশ^াস স্থাপন করে তাকে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে। প্রতারক বাদিতে ডিএসবিতে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেয়। কয়েকদিন পর আসামী বাদিকে জানায় তার চাকুরী বিষয়ে কথা বার্তা হয়েছে। এক্ষুনি আসামীকে ৪লাখ টাকা দিতে হবে। বাদি আসামীর কথায় বিশ^াস করে বাড়িতে যায়। বিষয়টি নিয়ে বাদি তার মা বাবা ও পরিবারের সাথে কথা বার্তা বলে অতি কষ্টে সাড়ে ৩লাখ টাকা সংগ্রহ করে। গত ২৩ জুলাই সকাল ১০ টায় বাদি তার স্ত্রী শান্তা ইসলাম ও ছাতিয়ানতলার হাবিবুর রহমানকে নিয়ে আসামীর ভাড়াটিয়া বাড়িতে যায়। সেখানে আসামীর সাথে স্ত্রী ও হাবিবের সামনে কথা বার্তার এক পর্যায় নগদ সাড়ে ৩লাখ টাকা দেয়। কিন্তু অদ্যবদি বাদিকে আসামী চাকুরী দিতে পারেনাই। বাদি আসামীর কাছে তার দেওয়া সাড়ে ৩লাখ টাকা ফেরত চাইলে আজ কাল বলে ঘুরাতে থাকে। বুধবার ২৫ আগষ্ট সকাল ১০ টায় বাদি স্বাক্ষী ও স্থানীয় ইউপি মেম্বর আনিচুর রহমানসহ লোকজন নিয়ে আসামীর ভাড়াটিয়া বাড়িতে হাজির হয়ে উক্ত সাড়ে ৩ লাখ টাকা ফেরত চাই। আসামী টাকা ফেরত দিবে বলে এমনকি জনগনের প্রশ্নের মুখে সে বলে ডিএসবিতে চাকুরী করে না। স্থানীয় লোকজন আসামীকে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বললে সে নানা কথা বার্তা বলার এক পর্যায় বাদিতে প্রাণ নাশের হুমকী ধামকী দেয়। জনগনের সহায়তায় পুলিশ প্রতারক কাজী আহসান কবীরকে গ্রেফতার করে। পরে বাদির দায়ের করার মামলা হিসেবে গ্রহনের পর প্রতারকে আদালতে সোপর্দ করে।