বগুড়া প্রতিনিধি: রোববার দুপুর ১২টার দিকে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট,আদালত চত্বরে হিরো আলমের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় হিরো আলমকে কান ধরে উঠবসও করানো হয়। এই হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার আগে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হিরো আলম ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে প্রচারণার সময় মারধর ও ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি একই আসনে উপনির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে মামলা করেন। মামলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বগুড়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেন ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়।
দুপুর ১২টার দিকে আদালত চত্বরে হিরো আলম সাংবাদিকদের সঙ্গে মামলার বিষয়ে কথা বলার সময় ৫-৭ জন যুবক অতর্কিতে হামলা চালায়। তাদের অভিযোগ তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন হিরো আলম। এ সময় তারা হিরো আলমকে মারধর করে আদালত চত্বরের বাইরে সড়কে নিয়ে কান ধরে উঠবস করান।
মারধরের শিকার হওয়ার পর সাংবাদিকদের হিরো আলম বলেন, ‘এক স্বৈরাচারের পতনের পর আরেক দল নিজেদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেছে। এইটা কি স্বাধীনতা? প্রকাশ্যে আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হলো। আমি কখনো তারেক জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি করিনি। ডিবির হারুন আমার পরিবারকে জিম্মি করে রিজভী সাহেবের বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছিল। এই কথা আগেও বলেছি। এরপরও আমাকে আদালতের মতো জায়গায় আপনাদের (সাংবাদিক) সামনে পেটানো হলো।
বাইরে নিয়ে কান ধরে উঠবস করানোর অভিযোগ করে হিরো আলম বলেন, ‘যারা এই হামলা করেছে তাদের সবার ফুটেজ আছে। শনাক্ত করে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলা প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, ‘২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন ও ২০২৩ সালের উপনির্বাচনে আমার ওপরে হামলা হয়েছে। আমার ভোট কারচুপি করা হয়েছে। এসব অভিযোগে ৩৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছি।