যশোর প্রতিনিধি: আত্মীয় সম্পর্কের সূত্রে ধরে বাড়িতে বেড়াতে এসে এক ৪র্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থী (১১)কে কৌশলে বাড়ি থেকে অপহরণ করে ৮ দিন বিভিন্ন স্থানে রেখে প্রলোভন দিয়ে ফুসলিয়ে ধর্ষন করার পর বাড়ির সামনে ছেড়ে দিয়ে চলে গেছে। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ লম্পটক ইকলাছকে গ্রেফতার করেছে। সে বাঘারপাড়া উপজেলার তেঘরী গ্রামের,জনৈক খুন্তার বাড়ির পাশে রজিবুল ও কহিনুর বেগমের ছেলে।
স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীর মাতা বাদি হয়ে শুক্রবার বিকেলে কোতয়ালি মডেল থানায় লম্পট ইকলাছ ও তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা ২/৩জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, বাড়ির নাবালিকা মেয়ে ৪র্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থী লম্পট ইকলাছ বাদির আত্মীয় সম্পর্ক। সে বেশ কিছুদিন পূর্বে বাড়ির বাড়িতে বেড়াতে আসে। করোনাকালীন সময়ে স্কুল বন্ধ থাকায় বাদির মেয়ে বাড়িতে থাকে। বিভিন্ন সময়ে আসামী তার সহযোগীদের সহায়তায় বাদির নাবালিকা মেয়েকে বিভিন্ন ভাবে উত্যক্তসহ আজেবাজে কথাবার্তা বলতো। আসামীর কথা নাবালিকা মেয়ে রাজী না হওয়ায় উক্ত লম্পট জোরপূর্বক অপহরণ করে ক্ষতি করার জন্য ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এক পর্যায় শিক্ষার্থীকে গত ১২ আগষ্ট সকাল সাড়ে ৮ টায় শিক্ষার্থীর বাড়ি হতে নাস্তা খাওয়ার কথা বলে কৌশলে আসামীসহ তার অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন সহযোগীদের নিয়ে নাবালিকাকে অসৎ উদ্দেশ্যে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। বাদিসহ তার পরিবারের লোকজন এলাকার সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে উক্ত ইকলাচের মোবাইল ফোনে ফোন করে বাদি তার মেয়ের সম্পর্কে জানতে চাইলে সে বলে তার সাথে আছে। কোন চিন্তা করবেন না বলে লম্পট ইকলাচ। পরবর্তীতে বাদি ইকলাছের পিতাসহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজনদের মাধ্যমে মেয়েকে ফেরত দেওয়ার কথা বললে গত ১৯ আগষ্ট সন্ধ্যার সময় ইকলাছ নাবালিকাকে মোটর সাইকেল যোগে বাদির বসত বাড়ির পাশে রাস্তার উপর রেখে দ্রুত পালিয়ে যায়। নাবালিকা শিক্ষার্থী বাড়িতে আসলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে বাদির মেয়েকে অজ্ঞাতনামা স্থানে রেখে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ও ফুসলিয়ে ধর্ষন করেছে। নাবালিকা অসুস্থ্য অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।#