শেখ হাসিনা সাকিব আল হাসান নায়ক ফেরদৌস আহমেদেসহ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা

ঢাকা অফিস: সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও নায়ক ফেরদৌস আহমেদের বিরুদ্ধে করা মামলায় ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পোশাক শ্রমিক রুবেল হত্যার ঘটনায়।

আজ শুক্রবার মামলার এজাহার আদালতে আসে। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল তা গ্রহণ এই নির্দেশ দেন।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আদাবর থানায় মামলাটি করেন রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম। মামলায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতীলীগ, কৃষকলীগ, মৎস্যজীবী লীগের ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, তাঁর ছেলে শেখ ফজলে ফাইম, আমির হোসেন আমু, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, নজিবুল বাশার মাইজভান্ডারি, দিলীপ কুমার বড়ুয়া, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, শেখ ফজলে নূর তাপস, জুনায়েদ আহমেদ পলক, হাছান মাহমুদ, ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, নজরুল হামিদ বিপু, নজিবুল্লাহ হিরু, মাহবুবুল আলম হানিফ, আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, শেখ সারহান নাসের তন্ময়, হাজী সেলিম, তার ছেলে সোলায়মান সেলিম, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, দীপু মনি, সালমান এফ রহমানের ছেলে সায়ান এফ রহমান, তাহসিন বাহার সূচনা, শেখ ফজলে শামস পরশ, সানজিদা খানম, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, শাহজাহান খান, নাজমুল হাসান পাপন, ড. আব্দুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাদ্দাম হোসেন, শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, মাজারুল কবির শয়ন, তানভীর ইসলাম সৈকত, আহমেদ আকবর সোবহান, সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, গওহর রিজভী, গাজী হাফিজুর রহমান লিকু।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট রুবেলসহ কয়েকশ ছাত্র-জনতা সকাল ১১টার দিকে আদাবর থানার রিংরোড এলাকায় প্রতিবাদী মিছিল বের করে। এ সময় পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতীলীগ, কৃষকলীগ, মৎস্যজীবী লীগের নেতা-কর্মীরা গুলি চালায়। এতে রুবেল গুলিবিদ্ধ হয়। পরে কাছের একটি হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।