ঢাকা টাওয়ার ডেক্স: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী ১৮ মন্ত্রী ও ২৩ এমপির দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)।
রবিবার ৪১ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও এমপির দুর্নীতি অনুসন্ধান করতে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী আবেদন করেন। একদিন পর সোমবার আওয়ামী লীগ সরকারের এই মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত এল দুদকের।
এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে কিছু না জানালেও দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাবেক মন্ত্রী, এমপিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে। দুদক কাউকে ছাড় দেবে না।
অভিযোগের সঙ্গে ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন দুদক চেয়ারম্যানের কাছে ৪১ জনের তালিকা ও তাদের সম্পদ বৃদ্ধির পরিসংখ্যান দেন। এতে তিনি গত ৫ থেকে ১৫ বছরে মন্ত্রী ও এমপি থাকা অবস্থায়ি এই ৪১ জনের সম্পদ বৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরেন।
পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগের সাবেক এই মন্ত্রী-এমপিদের কারো আয় বেড়েছে। আবার কারো স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বেড়েছ। এক্ষেত্রে কারো সর্বনিম্ন ১০০ গুণ থেকে কয়েক হাজার গুণ আবার কারো কারো সম্পদ ও আয় বেড়েছে লক্ষ গুণ পর্যন্ত।
সাবেক এই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে আনিসুল হক, দীপু মনি, টিপু মুনশী, সাধন চন্দ্র মজুমদার, তাজুল ইসলাম, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, জাহিদ মালেক, গোলাম দস্তগীর গাজী, ইমরান আহমদ, জুনাইদ আহমেদ পলক, নসরুল হামিদ বিপু, ডা. এনামুর রহমান, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, চৌধুরী ফরিদুল হক, জাকির হোসেন, কামাল আহমেদ মজুমদার, জাহিদ আহসান রাসেল, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শাজাহান খান, হাছান মাহমুদ, কামরুল ইসলাম ও হাসানুল হক ইনুর নাম রয়েছে।
সাবেক এমপিদের মধ্যে বেনজির আহমেদ, সরওয়ার জাহান, শরিফুল ইসলাম জিন্না, শহিদুল ইসলাম বকুল, শেখ আফিল উদ্দিন, ছলিম উদ্দীন তরফদার, কাজী নাবিল আহমেদ, এনামুল হক, মেহের আফরোজ চুমকী, নূর আলম চৌধুরী শাওন, শেখ হেলাল উদ্দীন, স্বপন ভট্টাচার্য, কাজিম উদ্দীন আহমেদ, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, মুহিবুর রহমান, মামুনুর রশীদ কিরন, জিয়াউর রহমান প্রমুখের নাম রয়েছে।