স্কুলছাত্র আল-সাবুর হত্যাকাণ্ডে সাবেক দুই এমপি সহ শতাধিক আ: লীগ নেতা কর্মীদের নামে মামলা

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি: স্থানীয় সাবেক দুই এমপিসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্কুলছাত্র আল-সাবুর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাভারের আশুলিয়া থানায় মামলার।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাতে নিহত আল সাবুরের প্রতিবেশী সাহিদ হাসান মিঠু নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় স্কুলছাত্র আল-সাবুর নিহত হয়।

নিহত আল-সাবুর নওগাঁর মহাদেবপুর থানার মহাদেবপুর গ্রামের নায়েদ ওরফে জাকিরের ছেলে। সে জামগড়া শাহীন স্কুলের ১০ দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল এবং আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের জামগড়ার শিমুলতলা এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকত।

মামলায় আসামি করা সাবেক দুই এমপি হলেন– আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন–আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন, ইয়ারপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ ভুঁইয়া, সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার, আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার ও পাথালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগ নেতা পারভেজ দেওয়ানসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১১৯ জন নেতাকর্মী। মামলার সব আসামি আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের পদধারী নেতা। এছাড়া অজ্ঞাত আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে বাদীর প্রতিবেশীর ছেলে কেনাকাটার জন্য আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় যায়। ওই সময় সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলছিল। বেলা ২টার দিকে বাদী জানতে পারেন, আল-সাবুর বাইপাইল মোড়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়।

বাদীর দাবি, ঘটনার দিন বাইপাইল এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলছিল। ওই সময় সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম, তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদসহ মামলার ১ থেকে ১৫ নম্বর আসামিদের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা আল-সাবুরকে ধরে লাঠিপেটা ও গুলি করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, ‘অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।