যশোর প্রতিনিধি
এবার স্থানীয় জনগণ যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার সুকদেবনগর এলাকার রাস্তার উপর থেকে আন্তজেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় ডাকাতদের দখলে থাকা লুন্ঠিত মাইক্রোবাস,মোবাইল,বিভিন্ন মালামাল নগদ টাকাসহ ৩৬লাখ ৮৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার ও ধারালো দু’টি চাকু জব্দ করেছে। গ্রেফতারকৃতরা ডাকাতেরা হচ্ছে, নড়াইল জেলার নড়াগাতি গ্রামের নয়নপুর গ্রামের মৃত মুক্তার হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমান, সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলার মাছখোলা গ্রামের জমাত আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন, যশোরের শার্শা উপজেলার সেতাই গ্রামের নাজির উদ্দিন শেখ এর ছেলে দেলোয়ার হোসেন ও একই এলাকার নুরল ইসলামের ছেলে কামরুজ্জামান।
পুলিশ গ্রেফতারকৃতদের বর্ণনা দিয়ে জানান, সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলার হাড়দাহ গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে ইকবাল হোসেন ও সঙ্গীয় আশরাফুজ্জামান তাদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাস যোগে ঢাকা থেকে ১২ আগষ্ট ভোর পৌনে ৬ টায় সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। তাদের মাইক্রোবাসটি রুপসা ফেরিঘাট দিয়ে খুলনা ডুমুরিয়া থানাধীন গুটুদিয়া নামক স্থানে পৌছালে একটি মাইক্রোবাস ও ১টি প্রাইভেট কার দিয়ে তাদের বেরিকেট দিয়ে গতিরোধ করে। পরে তাদেরকে অস্ত্র দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের চোখ ও হাত পা বেধে সকাল পৌনে ৯ টায় যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার সাইটখালী এলাকায় রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। স্থানীয় জনগন তাদেরকে উদ্ধার করে ঘটনার বিষয় জানতে পেরে মোবাইল ফোনে বাঘারপাড়া থানা পুলিশকে অবহিত করে। স্থানীয় লোকজনের প্রচেষ্টায় সকাল ১০ টায় সুকদেবনগর এলাকায় ৪ ডাকাতকে লুন্ঠিত মাইক্রোবাসসহ হাতে নাতে আটক করে। এ ব্যাপারে ইকবাল হোসেন বাদি হয়ে বাঘারপাড়া থানায় ডাকাতি ধারায় মামলা করেন। মামলা হওয়ার পর মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের উপর তদন্তর ভার দেওয়া হয়। ডিবি পুলিশের একটি টিম ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার ২টি ধারালো চাকু লুন্ঠিত নগদ ২০ হাজার টাকা ও ২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে সক্ষম হন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ধৃত ও পলাতক আসামীগণ একটি সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। আসামী মিজানুর রহমান পুলিশ বিভাগ থেকে একইরূপ ঘটনায় ২০১৫ সালে চাকুরীচ্যুত হয়ে একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল তৈরী করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাদের ব্যবহৃত গাড়ী যোগে ডিবি পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ছিনতাই ডাকাতি সংঘটন করে থাকে বলে জানা যায়। আরো জানা যায়, গাড়িতে স্বর্ণ আছে তথ্য পেয়ে আসামীরা রুপসা ফেরিঘাট থেকে পিছু নিয়ে খুলনা ডুমুরিয়া থানা এলাকায় গাড়িটি গতিরোধ করে গাড়িতে থাকা বাদী ও সঙ্গীয় ১ জনকে আটক করে। বাদীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গাড়িতে কোন স্বর্ণ ছিল না। এই বিষয়ে গভীর তদন্ত অব্যাহত আছে।