আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়া ক্যাম্প ছেড়ে যাওয়ার পর দুই দিনে ধ্বংসস্তূপ থেকে ১২০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের মেডিকেল সূত্র তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলুকে জানিয়েছে, সিভিল ডিফেন্স দলগুলো জাবালিয়া ক্যাম্পের ধসে পড়া ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তা থেকে এখন পর্যন্ত ১২০টিরও বেশি মরদেহ উদ্ধার করেছে। আবর্জনা এবং ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কারে কাজ চলছে। ফলে আরও মরদেহ উদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে শুক্রবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জাবালিয়া এলাকায় টানা ২০ দিনের ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে তাদের আক্রমণের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে।
তেল আবিব সঠিক হতাহতের পরিসংখ্যান গোপন করছে এমন অভিযোগের মধ্যে সেখানে হামাসের আক্রমণে ১০ ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হওয়ার দাবি করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এদিন ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।
প্রায় আট মাসের ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলায় গাজায় প্রায় ৩৬ হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৮২ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। হতাহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, অনেক ফিলিস্তিনি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। ইসরায়েলের অবিরত বিমান ও স্থল হামলার কারণে অনেক জায়গায় অ্যাম্বুলেন্সগুলো পৌঁছাতে না পারায় এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে মরদেহ রয়েছে বলেও জানায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।