দাঁতের সংবেদনশীলতা বা শিরশির অনুভূতির তীব্রতা একমাত্র তারাই বোঝেন যারা তাতে ভুগছেন।
তবে এই সমস্যা যে আপনাকে সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হবে তা কিন্তু নয়। সাধারণ সংবেদনশীলতা দূর করার সহজ উপায় আছে একাধিক, আর তার বেশিরভাগই হল দাঁতের যত্ন নেওয়া। তবে কিছু ক্ষেত্রে দন্ত্য চিকিৎসকেরও প্রয়োজন হতে পারে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হল এর কারণ ও তার সমাধানে আপনার করণীয় সম্পর্কে।
কারণ
বাহ্যিক কেনো কারণে দাঁতে থাকা স্নায়ুতে প্রদাহ সৃষ্টি হলেই সাধারণত এই সংবেদনশীলতা দেখা দেয়। খালি চোখে এই প্রদাহ দেখা না গেলেও ব্যথা কিংবা শিরশির অনুভূতি বেশ তীব্র।
যুক্তরাষ্ট্রের দন্ত্য চিকিৎসক জফ্রি আর. মরিস (ডিএমডি, এমএস) বলেন, “দাঁত ঘষা, চেপে দাঁত ব্রাশ করা, ‘ক্যাভিটি’ আর সংক্রমণই হল দাঁতের সংবেদনশীলতা কারণ। প্রাথমিক অবস্থায় সাবধান হলে সহজেই তা সারিয়ে তোলা সম্ভব।”
ঘরোয়া টোটকা
নরম ‘ব্রিসল’য়ের ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে দাঁত ব্রাশ করা ক্ষেত্রে। ‘টুপপেস্ট’ কেনার সময় দেখে নিতে হবে তাতে ‘ফ্লুরাইড’ আছে কি-না।
ডা. মরিস বলেন, “অনেকেই ঘুমের মধ্যে দাঁতে দাঁত চেপে রাখেন যে কারণে সংবেদনশীলতা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে ঘুমানোর সময় ‘গার্ড’ ব্যবহার করতে হবে। আর দাঁতের সার্বিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য নিয়মিত চিকিৎসকের কাছ থেকে পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া সবচাইতে ভালো উপায়। এতে যেকোনো সমস্যা প্রাথমিক অবস্থাতেই শনাক্ত করা সম্ভব হবে।”
খাদ্যাভ্যাসের সমস্যা
যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্মাইল ম্যাজিক ফ্যামিলি ডেন্টিস্ট্রি’র ডা. ক্রেইগ কোপল্যান্ড (ডিএমডি) বলেন, “দাঁতের ‘এনামেল’য়ের আস্তর ক্ষয়ে যাওয়া, ‘জিনজাইভাল রিসেশন’, চেপে দাঁত ব্রাশ ইত্যাদি সংবেদনশীলতা মূল কারণ হলেও খাদ্যাভ্যাসও এই সমস্যার পেছনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা থাকে। ‘কার্বোনেইটেড’ পানীয়, অম্লীয় পানীয়, বরফ, এমনকি প্রচণ্ড গরম পানীয় পান করার কারণেও সংবেদনশীলতার তীব্রতা বাড়তে পারে। অম্লীয় বা টক খাবার আর পানীয় দাঁতের সবচাইতে বেশি ক্ষতি করে।”
ডাক্তারের সাহায্য নেওয়া
ঘরোয়া চিকিৎসায় কাজ না হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। অনেকেই ব্যাপারটাকে অবহেলা করেন, সহ্য করে যান, মনে করেন আপনা থেকেই সেরে যাবে। এমনটা করা উচিত হবে না। সংবেদনশীলতা দূর করে এমন বিশেষ ‘টুথপেস্ট’ ব্যবহার করতে হবে।