ঢাকা অফিস: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র প্রত্যেকবারই হচ্ছে। অতীতেও ষড়যন্ত্র ছিল, বর্তমানেও ষড়যন্ত্র চলছে। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা ছিল বলে কোনো ষড়যন্ত্রে কাজ হয়নি।
আজ শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে জার্মানি সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সকাল সাড়ে ১০টার পর প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। এতে দেশি বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। যথারীতি লিখিত বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী।
লিখিত বক্তব্যের পর প্রথমে প্রশ্ন করেন সাংবাদিক মনজুরুল ইসলাম বুলবুল। তিনি টানা চতুর্থ ও পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় অভিনন্দন জানান। পাশাপাশি ১১জন গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন দেওয়ায় ধন্যবাদ জানান।
পরে আরেক উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু সংসদ সদস্য করার সুযোগ পেয়েছি। সব শ্রেণিপেশার মানুষকে আনার চেষ্টা করেছি। সংসদে কী হয়, সেগুলো সবার জানা ও দেখা দরকা
দুর্ভিক্ষ নিয়ে প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ষড়যন্ত্র ছিল। ষড়যন্ত্র তো আছেই। ষড়যন্ত্র প্রত্যেকবারই হচ্ছে। বার বার করেছে। নির্বাচন যাতে না হয়, বিরাট চক্রান্ত ছিল। ২৮ অক্টোবরের ঘটনা আপনারা জানেন। এগুলো হঠাৎ করে নয়, পরিকল্পিতভাবে করেছে। নির্বাচন যখন বানচাল করতে পারবে না, বুঝে গেছে। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা ছিল। তাই তারা পরিকল্পনা করেছে, দ্রব্যমূল্য বাড়বে আর তারা আন্দোলন করবে।
তিনি বলেন, ডিম লুকিয়ে রেখে দাম বাড়ানোর কথা তো আপনিই বললেন। আপনার কি মনে হয় না, যারা সরকার উৎখাতে আন্দোলন করে তাদেরও এখানে কারসাজি আছে? এর আগে দেখলাম পেঁয়াজের খুব অভাব। পরে দেখা গেলো বস্তাকে বস্তা পেঁয়াজ পানিতে ফেলে দিচ্ছে। এ লোকগুলোকে কী করা উচিত, সেটা আপনারাই বলেন। এদের-তো গণধোলাই দেওয়া উচিত। কারণ আমরা সরকার কিছু করলে বলবে, সরকার করেছে। পাবলিক যদি প্রতিকার করে, তাহলে সব থেকে ভালো, কেউ কিছু বলবে না। জিনিস লুকিয়ে রেখে পচিয়ে ফেলে দেবে, আর দাম বাড়াবে!
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর প্রথমবারের মতো সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবাদ সম্মেলনে ‘মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন’-এ যোগদান উপলক্ষে সম্প্রতি জার্মানি সফরের নানা অভিজ্ঞতা জানান।
জার্মানিতে তিনদিনের সরকারি সফর শেষে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দিতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ছাড়েন তিনি। মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের সভাপতির আমন্ত্রণে সেখানে যান প্রধানমন্ত্রী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর দেশের বাইরে এটিই ছিল তার প্রথম সরকারি সফর।