তোমরাই নেতৃত্ব দেবে আগামির বাংলাদেশের এমপি নাবিল 

যশোর প্রতিনিধি: যশোর-৩ (যশোর সদর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী নাবিল আহমেদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, সেই বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে আজকে যারা এখানে বসে আমাদের কথা শুনছে। আজ থেকে ১৭-১৮ বছর পরে তোমাদের বয়স হবে ২৯ থেকে ৩২ বছর। তোমরাই নেতৃত্ব দেবে আগামির বাংলাদেশের। আর তাই, তোমাদের জন্যে আমাদের প্রয়োজন একটি উপযুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা। প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা সেই ব্যবস্থাই করেছেন তোমাদের জন্যে।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে যশোর নিউটাউনের বাদশাহ ফয়সাল ইসলামী ইনস্টিটিউটের (আবাসিক) ৩৫তম আন্তহাউস ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এমপি কাজী নাবিল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষাক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। সে কারণে শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন কারিকুলাম সংযোজন করা হয়েছে। যাতে শিক্ষার্থীরা মুখস্থ না করে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান নিজেরাই করতে পারে। শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন নতুন নানা উপাদান সংযুক্ত করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকা-ের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিখাতে কার্যকর ভূমিকা রেখে চলেছেন। কিন্তু তার উন্নয়ন কর্মকা- সহ্য হয় না একাত্তরের পরাজিত শক্তিদের।

বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগ করে কাজী নাবিল বলেন, এই অপশক্তি বাংলাদেশকে স্বীকার করে না। তারা সব সময়ই চেষ্টা করে বাংলাদেশকে কীভাবে অস্থিতিশীল করা যায়। তারা জনগণের প্রতি আস্থা না রেখে বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন দূতাবাসে, দরোজায় দরোজায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। তদবির করছে দেশের বিরুদ্ধে, উন্নয়নের বিরুদ্ধে কথা বলছে।

তিনি বলেন, আপনাদের স্মরণ আছে, ক্ষমতায় থাকাকালে তারা দেশকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য করেছিল। জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছিল বিএনপি-জ্মাায়াত জোট সরকারের সময়। বাংলা ভাইয়ের উদ্ভব হয়েছিল, সিরিজ বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। ২০১৩-১৪ সালে নির্বাচন বানচাল করার নামে তারা দেশব্যাপি আগুন সন্ত্রাস চালায়, মানুষকে পুড়িয়ে মারে, ট্রেনলাইন ও গাছ উপড়ে সরকারি সম্পদ বিনষ্ট করেছিল। এবারও ব্যত্যয় ঘটেনি। ২৮ অক্টোবর তারা প্রকাশ্যে পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করে, বিচারপতির বাড়িতে আক্রমণ চালায়।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের দায়িত্ব নিয়ে ঘোষণা দেন ডিজিটাল বাংলাদেশের। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে পরিণত করার। সেই সময় অনেকেই উপহাস করেছিলো। অনেকেই এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে বাংলাদেশকে ডিজিটাল ও মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে সারাবিশ্বে পরিচিত করিয়েছেন।

বাদশাহ ফয়সাল ইসলামী ইনস্টিটিউটের সভাপতি  উপশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসানুর রহমান লিটুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম খয়রাত হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. রবিউল ইসলাম, ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক এসএম রবিউল আলম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথিসহ অন্যদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেয়া হয়। প্রধান অতিথিকে মানপত্র পাঠ করে শোনান প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক। এরপর মনোজ্ঞ ডিসপ্লের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের নানামুখী উন্নয়ন চিত্রের বর্ণনা করে প্রতিষ্ঠানের ছেলেমেয়েরা।

আলোচনা শেষে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ।