যশোরে সোলাইমান হত্যা মামলার আরো এক আসামির আত্মসমর্পণ

যশোর প্রতিনিধি: যশোর টিবি ক্লিনিক পাড়ায় চাঞ্চল্যকর সোলাইমান হত্যা মামলার আরো এক আসামি জনি (২৫) আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। বৃহস্পতিবার (৮ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১ টার দিকে যশোর চিফ জুডিসিয়াল আদালতে আত্মসমর্পন করে। এর আগে, মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) আদালতে একমাত্র আসমি চাঁচড়ার আরাফাত আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করে। এ নিয়ে দুইজন আসামি আতœসমর্পন করলো। বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। আরাফাত ফারাজী চাঁচড়ার বাসিন্দা হলেও সারা শহরে রয়েছে তার নেটওয়ার্ক। ছোট-খাটো ঘটনায় ছুরিকাঘাত করে জখম ও খুন করাসহ নানা অপরাধে তার রয়েছে সম্পৃক্ততা। এদিকে, মামলার আসামিদের আত্মসমর্পনের ঘটনাকে নিহতের স্বজনরা বলছেন সবই পুলিশের নাটক। আটক এড়িয়ে রয়েছে তিনজনসহ বেশকয়েকজন অজ্ঞাত আসামি। যদিও মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা যশোর কোতয়ালি থানার এসআই আব্দুল মালেকের দাবি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। আত্মসমর্পণ নাটক অভিযোগের বিষয়টি তিনি হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন।

এদিকে, চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের ১০ দিন পার হলেও বুকফাটা কান্না আর আহাজারী থামছে না সোলাইমানের পরিবারে। বৃদ্ধ বাবা-মা, বোন, স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানের চোখের জলে ভাসছে গোটা পরিবার। স্থানীয়দের অভিযোগ এজাহারভূক্ত আসামিরা চিহিৃত মাদককারবারী, চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য হওয়ায় ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। এসব সন্ত্রাসীদের পরিবারের সদস্যরাও বেপরোয়া। অনেকেই মাদক কারবারের সাথে জড়িত। কথিত বড় ভাইদের ছত্রছায়ায় থাকার কারণে হয়েছে বেপরোয়া। এর আগেও, আসামি আরাফাত ফারাজী আদালতে আত্মসমর্পণের পর নিহতের পরিবার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অভিযোগ তুলেছিলেন এসবই পুলিশের নাটক। পুলিশ চাইলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেফতার করতে পারে। কিন্তু করছে না-এ অভিযোগ নিহতের স্ত্রী আসমা খাতুনের। তিনি বলেন-আত্মসমর্পণের মাধ্যমে আসামিদের রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি মামলার ভবিষ্যৎ নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন।