বিনোদন ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরেই ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলায় অভিযুক্ত বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। এমনকি পুলিশি নজরদারিতেও রয়েছেন তিনি। এই মামলার আসামি কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের প্রেমের গল্প প্রায় কারও অজানা নয়।
মামলার পাশাপাশি এই সম্পর্কের কারণেও মাঝে মধ্যেই খবরের শিরোনামে উঠে আসে জ্যাকলিন। এবার জানা গেল হাইকোর্টে মিথ্যা ধরা পড়ায় ফেঁসে গেছেন এই অভিনেত্রী। ইতোমধ্যে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা সংক্রান্ত ব্যাখ্যা ও প্রমাণাদি দাখিল করেছে তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
আদালতকে ইডি জানায়, ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলায় অভিযুক্ত অভিনেত্রী জ্যাকলিন সব জেনেশুনেই সুকেশের সঙ্গে প্রতারণায় সামিল হয়েছেন ও করেছেন। এত দিনের মধ্যেও সুকেশের সঙ্গে হওয়া আর্থিক লেনদেনের সত্যতা প্রকাশ না করে সর্বদাই তথ্য গোপন করেছেন।
শুধু তাই নয়, এখন পর্যন্ত সত্যকে সামনে আসতে দেননি জ্যাকলিন। এমনকি সুকেশকে গ্রেপ্তার করার পর নিজের মোবাইল থেকে সম্পূর্ণ ডেটা মুছে ফেলেছিলেন জ্যাকলিন; যা প্রমাণ নষ্ট করা। সব প্রমাণ নষ্ট করার জন্য নিজের সহকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমের এক এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনার দিন আদালতে গিয়ে আর্থিক তছরুপ মামলাটির এফআইআরটি বাতিলের দাবি জানান জ্যাকলিন। সেসময় মামলাটি বিচারপতি মনোজ কুমার ওহরির সামনে উঠেছিল। তবে আপাতত অভিনেত্রীর আইনজীবী ইডির হলফনামার জবাব দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছেন। হলফনামার জবাবের জন্য জ্যাকলিনকে সময় দিয়েছেন আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি রাখা হয়েছে আগামী ১৫ এপ্রিল।
হলফনামায় ইডি জানিয়েছে, সুকেশের থেকে ৫ কোটি ৭১ লক্ষ ১১ হাজার ৯৪২ টাকার শুধু উপহারই নেননি, সঙ্গে দুটি বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, যা তার ভাই ও বোনের, সেখানেও ১ লাখ ৭২ হাজার ৯১৩ আমেরিকান ডলার ও ২৬ হাজার ৭৪০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার স্থানান্তর করার জন্য সুকেশকে অনুরোধ করেছিল জ্যাকলিন।
ইডির তথ্যঅনুযায়ী, জ্যাকলিন ইচ্ছাকৃতভাবে তার বক্তব্য রেকর্ড করার সময় নিজে থেকে ভুল তথ্য পেশ করে আসছিলেন। যাতে তদন্তকে বিভ্রান্ত করা যায়। প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত সুকেশের আসল নাম জানার পরও সেই কথা অস্বীকার করেছিলেন। যা পরবর্তীতে প্রমাণিত হয় যে তিনি মিথ্যা বলছেন।
জানা গেছে, প্রেমিকা জ্যাকলিনকে দামি দামি উপহারও দিয়েছেন সুকেশ। মূলত এরপরই ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় নাম জড়ায় সুকেশের। গত দু’বছর ধরে জেলবন্দি থাকেলও সেখান থেকেই বিভিন্ন সময় জ্যাকুলিনের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন তিনি।