উত্তরের হিমেল বাতাস এই জনপদে শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: নতুন বছরের শুরুতে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত। রাতভর হিমেল বাতাস, ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারদিক। রাতভর টিপটিপ বৃষ্টির মতো ঝরা কুয়াশা থাকছে দুপুর পর্যন্ত। দিনভর ঠাণ্ডা বাতাস আর কুয়াশার দাপটে সূর্যের তীব্রতা ছড়াতে না পারায় অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। কাবু হয়ে পড়ছে জনজীবন।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়

সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শুরু হয় হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশা। এতে অনুভূত হতে থাকে কনকনে শীত। সোমবার দিনভর উত্তরের হিমেল বাতাস থাকায় ছড়াতে পারেনি সূর্যের তীব্রতা। এতে কমে যায় দিনের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান। রাতভর টিপটিপ বৃষ্টির মতো ঝরেছে কুয়াশা। উত্তরের ঝিরিঝিরি হিমেল বাতাসের সঙ্গে কুয়াশা থাকায় শীতে কাবু হয়ে পড়ছে উত্তরের এই জনপদের মানুষ।
ঘন কুয়াশায় সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। কনকনে শীত অনুভূত হওয়ায় কাজে ব্যাঘাত ঘটছে খেটে খাওয়া মানুষের। সকালবেলা ঠাণ্ডা বাতাসে কাবু হয়ে পড়া মানুষ গরম কাপড় পরে বের হওয়ার পাশাপাশি অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ্ বলেন, তেঁতুলিয়ার আকাশের উপরিভাগে ঘন কুয়াশা থাকায় সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পুরোপুরি আসছে না। এ জন্য বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। এ ছাড়া উত্তরের হিমেল বাতাস এই জনপদে শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এখন থেকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। জানুয়ারি মাসজুড়ে এই এলাকায় একই রকম আবহাওয়া থাকতে পারে বলে তিনি জানান।