যশোর প্রতিনিধি শহরের শংকরপুরের শাওন ওরফে টুনি শাওন হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত আরো তিন আসামিকে আটক করেছে পুলিশ। একই সাথে হত্যার কারণ উদঘাটন করা হয়েছে বলে, দাবি পুলিশের।
২৫ জুলাই গভীর রাতে শহর ও ঝিকরগাছা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে জেলা গোয়েন্দা ও চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা আসামীদের আটক করে। এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু, চাইনিজ কুড়াল, মটরসাইকেলও জব্দ করা হয়। আজ সোমবার দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
আটককৃতরা হলো শহরের শংকরপুর আশ্রম রোড এলাকার মুরগি ফার্মগেট এলাকার রবিউল ইসলাম সরদারের ছেলে ইয়াসিন হাসান রানা (২০), ঝিকরগাছা উপজেলার ইস্তা গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের বিশ্বাসের ছেলে হাফিজুর রহমান বিশ্বাস ভ্যাবাে (৩০)ও শংকরপুর গোলপাতা এলাকার ভাড়াটিয়া আমিন মোড়লের ছেলে জয় (১৯)। এর আগে পুলিশ আরো তিন আসামিকে আটক করে। আটককৃতরা হচ্ছে,শহরের শংকরপুর এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মােহাম্মদ আলী (২০), একই এলাকার মিন্টু শেখের ছেলে বিল্লাল হােসেন মৃদুল (২০), ও শংকরপুর এলাকার মৃত্যু কটার ছেলে মানিক (২৬)।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসবি জাহাঙ্গীর আলম জানান, নিহত শাওন ওরফে টুনির বাবা ৮ জনকে আসামী করে যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের পরের দিনই তিনজনকে আটক করা হয়।এরপর পুলিশ সুপারের দিক-নির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর রােকিবুজ্জামান এবং ডিবির ইনচার্জ রুপন কুমার সরকার এসআই মফিজুল ইসলাম, ও এসআই শামীম হােসেনের সমন্বয়ে,ও কোতয়ালী থানা এলাকা ও ঝিকরগাছা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য গত ২২ শে জুলাই ঈদের পরের দিন রাতে শহরের শংকরপুর জুমাদ্দারপাড়া ছোটনের মোড়ে শাওনকে তাড়িয়ে কমিউনিটি পুলিশের অফিসে ঢুকে সন্ত্রাসীরা আব্দুল হালিম শেখের ছেলে শাওনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে দেখে মৃত ঘোষণা করেন