যশোরে নারীর রিকশা গতিরোধ করে লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে  মারধোর করায় মামলা

যশোর প্রতিনিধি
জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা মোছাঃ খাদিজা আক্তার (২৮) নমে এক গৃহবধূকে রিকশার গতিরোধ পূর্বক ১লাখ টাকা চাঁদাদাবি করেছে। এ ঘটনায় এক চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি করেন, যশোর সদর থানার বাহাদুরপুর স্কুল পাড়ার রনিব সরদারের স্ত্রী মোছাঃ খাদিজা আক্তার। মামলায় আসামী করেন,যশোরের চৌগাছা উপজেলাার উজিরপুর গ্রামের মৃত আজাহার আলীর ছেলে শহিদুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ৩জন।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, আসামী সম্পর্কে বাদির চাচা। জায়গা জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে উল্লেখিত আসামীরা বাদির পরিবারকে ক্ষতি করার চেষ্টা করে আসছে। বাদির পিতা আবু জাফর (৫৫) চৌগাছা উপজেলার উজিরপুর মৃত আজহার আলীর ছেলে  ও তিনি জন্মগত একজন দৃষ্টি  প্রতিবন্ধী তথা অন্ধ। আসামী শহিদুল ইসলাম গত ২০২২ সালে বাদির আপন ফুফু লুৎফেন্নছা,পারভীনা আক্তার ও সুম্মিতা খাতুন এর নিকট হতে ৮১৪৩/২২ নং দলিল মুলে জ¦াল জালিয়াতির মাধ্যমে উল্লেখিত ফুফুদের জমি লিখে নেয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলাকালীন বাদির উল্লেখিত তিন ফুফু ও বাদির পিতা আবু জাফর ও চাচা ইকবল হোসেন যশোর মানবাধিকার অফিসে আপোয় নিষ্পত্তির লক্ষ্যে একটি অভিযোগ করেন। বাদির চাচা ইকবল হোসেন যশোর মানবাধিকার অফিসে আপোষ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে একটি অভিযোগ করে এবং বাদির পিতা আবু জাফর বাদি হয়ে উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে গত ৬ আগষ্ট একটি মামলা করেন। যা দলিল বাতিলের মামলা নং দেওয়ানী পি-৯৪২/২৩,ধারা ফৌজদারি কার্য্য বিধির ১৪৪/১৪৫। অতপর বাদির উল্লেখিত ৩ফুফু যথা লুৎফুন্নেছা,পারভীনা আক্তার ও সুম্মিতা খাতুন বাদি হয়ে উল্লেখিত আসামী শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে চৌগাছা সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা করেন। যা দলিল বাতিলের মামলা নং ১৭৪/২৩। বাদির ফুফুরা আসামীর  বিরুদ্ধে দলিল বাতিলের মামলা করায় আসামী বাদিকে ও তার অন্ধ পিতাকে গত এক সপ্তা যাবত বাহাদুর পুরের বাসায় এসে ভয়ভীতি প্রদর্শন পূর্বক বলে আসছে যে, তুই ও তোর বাপ,লুৎফুন্নেছা,পারভীনা আক্তার,সুম্মিতা খাতুনকে দিয়ে তার শহিদুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিস। উক্ত মামলা ওদেরকে দিয়ে দ্রুতই প্রত্যাহার করে নিবি। বাদি ও তার পিতা আসামীর এহেন প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে বাদি ও তার পিতাকে ক্ষতি করার জন্য শহিদুল ইসলাম সুযোগ খুঁজতে থাকে।এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ নভেম্বর বেলা ২ টায় বাদি বিজ্ঞ আদালতে তার পিতার পক্ষে মামলা পরিচালনার কাজ শেষ করে স্বামীর বাড়ি সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে আসছিল। পথিমধ্যে উপশহর নিউমার্কেট ট্রাক স্ট্যান্ড পার হয়ে কিসমত নওয়াপাড়া রোডে প্রবেশের সাথে সাথে পিছন হতে দুই মোটর সাইকেলে চারজন বাদির রিকশার গতিরোধ করে। চারজনের মধ্যে একজন শহিদুল ইসলাম। অপর তিনজন নিউমার্কেট এলাকার মাস্তান পরিচয় দেয়। বাদি রিকশা থেকে নামলে শহিদুল ইসলাম বাদিকে বলে যে, কেন তার বিরুদ্ধে দায়ের করা দেওয়ানী মামলাটি প্রত্যাহার করাসনি। বাদি প্রতিবাদ করলে আসামী শহিদুল ইসলাম বাদিকে কিল,ঘুষি,চড় মেরে বলে যে, ওই মামলায় জবাব দেওয়ার জন্য তার ১লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আগামী কালকের মধ্যে তুই আর তোর বাপ আসামী শহিদুলকে উক্ত ১লাখ টাকা প্রদান করবি। নইলে তোকে ও তোর বাপকে খুন জখম করে ফেলবো। তখন কয়েকজন লোক আসামীদের উপর উত্তেজিত হয়ে পড়লে আসামীরা দ্রুত মোটর সাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। তখন বাদি মোবাইলে তার পিতা ও ছোট কাকা ইকবাল হোসেনকে জানায়। এ ঘটনার পর বাদি আহত হওয়ায় তিনি যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করেন। বাদির স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চলাচলে ব্যাহত হওয়ায় তিনি মামলা করেন।#