যশোরে ভৈরব নদীতে মাছ ধরতে যেয়ে চাচা ভাইপো জখমের ঘটনায় মামলা

যশোর প্রতিনিধি
ভৈরব নদ ও তার পাশে খালে মাছ ধরতে যেয়ে চাচা নুর ইসলাম (৪৫) ও ভাইপো জনি (১০) সন্ত্রাসী দুই ভাইয়ের হাতে মারপিটের শিকার ও অবৈধ আটক হয়েছে। এ ঘটনায় আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার রাতে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি করেন, যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর সন্যাসী বটতলার মৃত আকবর মোল্যার ছেলে নুর ইসলাম। মামলায় আসামী করেন, সদর উপজেলার দাইতলার কেষ্ট বিশ^াসের ছেলে বিধান বিশ^াস ও তার সহোদর শিমুল বিশ^াস।
এামলায় বাদি উল্লেখ করেন তিনি পেশায় একজন মুদি দোকান্দার। ফতেপুর সন্যাসী বটতলায় বাদিও একটি মুদী দোকান আছে। বাদি মাঝে মর্ধ্যে তার গ্রামের পাশর্^বর্তী ভৈরব নদ ও তার  পাশের খালে মাছ ধরতে  থাকে। গত ১৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১ টায় বাদি তার ভাইপো জনিকে নিয়ে নৌকায় করে ভৈরব নদে মাছ ধরতে যায়। নদীর বিভিন্ন স্থানে মাছ ধরে  ১৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ৩ টায় ভৈরব পাশের্^ সরকারী নদের পাশের্^ সরকারী খালে দুই সহোদরের পেতে রাখা কারেন্ট  জ¦ালের উপর দিয়ে বাদির নৌকা যাওয়ার সময় খালপাড়ের উত্তর পাশের্^ সোতা নামকস্থানে দাঁড়িয়ে থাকা আসামীদ্বয় বাদির নৌকা দেখতে পেয়ে ডাক দিয়ে জানতে  চায়। নৌকায় কে কে? বাদি তখন তার নাম বললে আসামীদ্বয় নৌকাসহ বাদির খালের উত্তর পাশের্^ আসতে বলে। বাদির নৌকাসহ খালের উত্তর পাশের্^ সোতা নামকস্থানে আসতেই আসামীদ্বয় বাদিকে গালিগালজ করে বলে যে, বাদি তাদের পাতা জাল হতে কেন মাছ ধরছে। বাদি আসামীদেও বলে যে, বাদি তাহাদেও জ¦াল হতে মাছ ধরছে না। নদী হতে মাছ ধরছে। তখন আসামীদ্বয় নৌকায় যেয়ে ১নং আসামী বাদিকে ও শিমুল বিশ^াস  বাদির ভাইপো জনিকে জোর করে নীচে নামিয়ে আনে এবং অবৈধ ভাবে আটক করে কিছু বুঝে ওঠার আগে আসামী দুই সহোদর এক পর্যায়  বাদিকে মারপিট করে সারা শরীরে বেদনাযুক্ত ফোলা জখম কওে এক পর্যায়  বিধান বিশ^াস  বাদির নৌকা হতে বৈঠা এনে বাদিকে খুন করার   উদ্দেশ্য বাদির মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করতে গেলে বাদি ডান হাত দিয়ে ঠেকালে উক্ত বৈঠার আঘাত বাদির ডান হাতের কবজির উপরে লেগে হাড়ভাঙ্গা গুরুতর জখম করে।  আসামী শিমুল বিশ^াস বাদির ভাইপো জনিকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে খালের হাটু পানির মধ্যে থাকা কলা গাছের সাথে দুই হাত  পিঠামোড়া করে বেধে রেখে। তখন নদীতে মাছ ধরতে থাকা সাক্ষী আব্দুল ওদুদ  নিজস্ব ঘেরে থাকা আসামী শিমুল বিশ^াস বাদির ভাইপোকে পিঠমোড়া করে বেঁধে রাখে। তখন নদীদে মাছ ধরতে থাকা আব্দুল ওদুদ, নিজস্ব ঘেরে থাকা জব্বার মোল্যা বাদি ও তার ভাইপোর কান্নাকাটি ও ডাক চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে এসে তার জোরে ডাক চিৎকার দিলে অন্যান্য এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এসে বাদি যতি অত্র ঘটনা নিয়ে কোন মামলা করেন তবে বাদিকে খুন জখমের হুমকী দিয়ে আসামীদ্বয় পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন বাদি ও তার ভাইপোকে চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বাদি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। বাদি তার ভাই রমজান মোল্যার মাধ্যমে থানায় মামলা করতে পাঠায়। থানা কর্তৃপক্ষ মামলা করতে অস্বীকার করায় বাদি উপায়ূন্তর না পেয়ে আদালতে মামলা করেন।