বেনাপোলের ফারুকের ১০ বছর ও ইলিয়াসের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড

যশোর প্রতিনিধি 
যশোরে সোনা ও ফেনসিডিল চোরাচালানের পৃথক মামলায় দুই বেনাপোলের দুই চোরাকারবারীর ভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তাজুল ইসলাম এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জুয়েল অধিকারী আলাদা রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, বেনাপোলের পুটখালি গ্রামের উত্তরপাড়ার ফারুক হোসেন ও তালসারি পাটবাড়ি গ্রামের ড্রাইভার ইলিয়াস শেখ। দুই আসামির উপস্থিতিতেই সাজা প্রদান করে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বেনাপোলের পুটখালি ক্যাম্পে বিজিবি বালুরমাঠ খেজুরবাগানে অভিযান চালায়। এসময় ফারুক হোসেনকে নয়টি সোনার বারসহ আটক করে। ওই সোনার ওজন সাড়ে ৯৪ তোলা। যার দাম ৪১ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। এ ঘটনায় বিজিবির ল্যান্স নায়েক আনোয়ারুল হক বাদী হয়ে চোরাচালান দমন আইনে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ফারুক হোসেনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রফিকুল ইসলাম আদালতে চার্জশিট জমা দেন। আসামি ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাজুল ইসলাম আসামিকে ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন।
অপরদিকে, ২০১৩ সালের ৮ নভেম্বর গভীর রাতে বেনাপোলের কাগজপুকুরের হক ফিলিং স্টেশনের সামনে অভিযান চালায় র‌্যাব-৬ যশোরের সদস্যরা। এসময় যাত্রী বিহীন একটি বাস থামানোর সাথে একজন জানালা দিয়ে পলিয়ে যায় এবং চালক ইলিয়াস শেখকে আটক করে র‌্যাব। পরে বাস তল্লাশি করে ল্যাগেজ বক্সের ভিতর থেকে ১শ’৭১ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র‌্যাবের এসআই বায়েজীদ আকন বাদী হয়ে মাদক চোরাচালান দমন আইনে আটক বাসচালকসহ দুই জনকে আসামি করে পোর্ট থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে আটক ইলিয়াস শেখকে অভিযুক্ত ও অপর আসামি জাহাঙ্গীর হোসেনের অব্যহতি চেয়ে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আশরাফুল আলম। আসামি ইলিয়াস শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক জুয়েল অধিকারী তাকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদন্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।